সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কবিরপুর এলাকার এক প্রবাসী নারীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কিছু শ্রমিকরা ওই নারীর বসতঘর নির্মাণের জায়গায় মাটি ভরাটের কাজ করে আসছিলেন। কিন্তু কাজের পর চুক্তি অনুযায়ি টাকা না পাওয়ায় আইনি সহযোগিতা চেয়ে আদালতের দারস্ত হয়ে বিচার চাইছেন এসব শ্রমিক। অভিযোগসূত্রে জানা গেছে- ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর জমিতে মাটি ভরাটের জন্য লিখিত চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ি কবিরপুর এলাকার প্রবাসী নারী রুপবাহার বেগম ও তার আত্মীয় আক্তার হোসেনের নির্দেশনা অনুযায়ি রুপবাহারের ৪ কেদার জমিতে ৩লাখ ঘনফুট মাটি ভরাটের কাজ করে একই উপজেলার ঘোষগাও এলাকার ঠিকাদার জাহেদ আলী ও তার শ্রমিকরা। এই জমিতে প্রবাসী নারীর ইচ্ছে অনুযায়ি একটি পুকুরও খনন করাহয় বলে জানান শ্রমিকরা। ওই জায়গায় ছোট একটি ছাপটা ঘর বেধে শ্রমিকরা দিন রাত মাটি কাটার কাজ করেন। কিন্তু কাজের চুক্তি ভঙ্গ করে ওই বছরেরই ৩০ ডিসেম্বর ঠিকাদার ও শ্রমিকদেরকে ২লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করে বাকি টাকা না দিয়ে ওই প্রবাসী নারী ও তার আত্মীয় আক্তার লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে। ঠিকাদার বলছেন আরও ৯লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মাটির টাকা তারা পাননি। শ্রমিকরা বলছেন উল্টো নানা ধরণের হুমকি ও ক্ষমতা প্রদর্শন করা হচ্ছে এই প্রবাসীর পরিবারের পক্ষথেকে। ঠিকাদার জাহেদ বলেন“ আমরা প্রতারণার শিকার হয়েছি, এখন টাকার জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি, প্রবাসী নারী রুপবাহারের জায়গায় মাটি ভরাটের চুক্তির পর আমরা কাজ করেছি অনেক কষ্ট করে, আমাদের অনেক শ্রমিক কাজ করেছে, তাদেরকে দৈনিক মজুরি দিয়েছিলাম অনেক জায়গা থেকে টাকা ধার করে এনে। তবে পুরো টাকা কাউকেই দিতে পারিনি, এখনো শ্রমিকরা আমার কাছে টাকা পায়। আমাদেরকে টাকা না দিয়ে এখন হুমকি দেয়া হচ্ছে। আক্তারকে পাওয়া যাচ্ছেনা। প্রবাসী নারীর বাসায় গেলে আমাদেরকে উল্টো গালিগালাজ করা হচ্ছে। আমরা এখন অসহায়। বিচার পাচ্ছিনা কোথাও। তাই আদালতের কাছে বিচার চেয়েছি আমরা। সরেজমিনে জগন্নাথপুর উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, প্রবাসী নারী রুপ বাহারের আত্মীয় জয়নগর এলাকার মৃত আব্দুর রকিবের ছেলে আক্তার হোসেন এখনও লাপাত্তা। তবে প্রবাসী ওই নারী রুপ বাহারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলায় তার সঙ্গে দেখা করার ও কথা বলার সুযোগ হওয়াতে প্রতিবেদকের কাছে বিষয়টির ভিন্নমত প্রকাশ করেন তিনি। প্রবাসী নারী রুপবাহার বলেন“ আমার সঙ্গেই এরা প্রতারণা করেছে, আমার কোন দোষ নেই, তারা আক্তারকে ধরুক, আমি যে টাকায় চুক্তি করেছি আক্তারের মাধ্যমে সেখানে আমি জানতে পারি আমাকে ঠকানো হচ্ছে, পাশের জমিতে কম টাকায় মাটি কাটার কথা জানতে পেরে আমি হতভম্ভ হই, আক্তারকে টাকা দিয়েছিলাম, সে নয় ছয় করেছে, এখন পলাতক সে, তাকে ধরুক ঠিকাদার ও শ্রমিকরা, আমাকে এখানে দোষারোপ করা যাবেনা, এরা ইচ্ছে করে আমার সঙ্গে ঝামেলা করেছে।
এ ব্যপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।