1. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  2. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  3. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
শেরপুরে জাল দলিলে জমি দখলের পায়তারা ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারে বিডি ক্লিনের বীচে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সিএমপির অভিযানে পিস্তল গুলিসহ অস্ত্রকারবারি আটক-৩ লালমনিরহাটে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যসহ আহত-১০ বাংলাদেশ শিক্ষক- কর্মচারী ঐক্যজোটের সাঁথিয়া শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত পিরোজপুরে উদ্দীপনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান পিরোজপুর জিয়া মঞ্চ নব গঠিত আহবায়ক কমিটির পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অচলাবস্থা নিরসনে অন্তর্বর্তী কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ শেরপুরের গ্রামাঞ্চলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদানে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত শেরপুর শহরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে বাসাবাড়ি ও দোকানপাট
শিরোনাম:
শেরপুরে জাল দলিলে জমি দখলের পায়তারা ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারে বিডি ক্লিনের বীচে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সিএমপির অভিযানে পিস্তল গুলিসহ অস্ত্রকারবারি আটক-৩ লালমনিরহাটে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যসহ আহত-১০ বাংলাদেশ শিক্ষক- কর্মচারী ঐক্যজোটের সাঁথিয়া শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত পিরোজপুরে উদ্দীপনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান পিরোজপুর জিয়া মঞ্চ নব গঠিত আহবায়ক কমিটির পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অচলাবস্থা নিরসনে অন্তর্বর্তী কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ শেরপুরের গ্রামাঞ্চলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদানে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত শেরপুর শহরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে বাসাবাড়ি ও দোকানপাট

পাবনার সাঁথিয়ার কচুরিপানা থেকে তৈরি হস্তশিল্পসামগ্রী রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩

 

আবু সাইদ ( স্পেসাল করসপনডেন্ট)

বর্তমানে দেশের অধিকাংশ নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয় কচুরিপানায় পরিপূর্ণ।বলা যায়, কচুরিপানার অভয়ারণ্য চলছে। সরকারিভাবে কচুরিপানা অপসারণের কোন উদ্যোগই দেখা যাচ্ছেনা। অতিমাত্রায় কচুরিপানার কারণে লোকজন জলাশয়গুলোর পানি ব্যবহার ও মাছ আবাদ করতে পারছেনা।তবে আশার আলো দেখা দিয়েছে পাবনার সাঁথিয়ায় কচুরিপানা থেকে তৈরি হস্তশিল্পসামগ্রী। এই কচুরিপানাই এখন জোগান দিচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। কচুরিপানা থেকে তৈরি হস্তশিল্প রপ্তানি করে বছরে আসছে কোটি টাকা।

জানা যায়, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রসুলপুর নিভৃত এক গ্রামে তৈরি হচ্ছে নজরকাড়া এসব পণ্য। হস্তশিল্পের সাথে সম্পৃক্তদের সূত্রে জানা যায়, পরিবেশবান্ধব হওয়ায় কচুরিপানায় তৈরি এসব পণ্যের চাহিদা দেশের চেয়ে বিদেশের বাজারেই বেশি। ইউরোপ, আমেরিকার আটটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে এসব পণ্য। যার মাধ্যমে বছরে আয় হয় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা। পাশাপাশি কচুরি পানা ঘিরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাবনার শুধু সাঁথিয়া উপজেলাতেই ১৫টি গ্রামের অন্তত ৩০০ পরিবারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রসুলপুর গ্রামের জয়তুন খাতুন গড়ে তুলেছেন এমনই এক কুটিরশিল্প। এই কাজে তাঁর সহযোগী স্বামী রফিকুল ইসলাম। তাঁর ওখানে কাজ করেন ৬০/৭০ জন শ্রমিক, যাদের বেশিরভাগই নারী। কচুরিপানা থেকে তারা তৈরি করছেন টব, ফুলদানি, বালতি, পাটি, ট্রে, ফুলঝুড়ি, ডিম রাখার পাত্র, পাপোশ, মোড়া, টুপি, আয়নার ফ্রেম, ডাইনিং টেবিলের ম্যাটসহ ২০ ধরণের পণ্য।

বিভিন্ন আকারের ফুলের টব তৈরিতে ৪০ থেকে ১০০ টাকা মজুরি পান কর্মজীবীরা। একইভাবে ফলের ঝুড়িতে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাপোশে ৩০ টাকা, ফুলদানি ও ট্রেতে ৩৫ থেকে ৭০ টাকা ও আয়নার ফ্রেম বাবদ ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা মজুরি পান তারা। কেউবা কারখানায় বসে, কেউ আবার বাড়িতে বসে কাজ করে কারখানায় জমা দেন। সংসারের কাজের অবসরেই কাজটা করতে পারেন নারীরা।

কচুরিপানা সংগ্রহ, পরিবহন ও শুকানোর কাজ থেকেও শ্রমিকেরা দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করতে পারেন।দেখা যায়, গ্রামীণ সরু সড়কের পাশেই কুটির শিল্পটির অবস্থান। সেখানে কাঁচা কচুরিপানা শুকানোর কাজে ব্যস্ত রফিকুল ইসলাম। ভ্যানে করে কচুরিপানা বিক্রি করতে আসেন শ্রমিকেরা। উপজেলার ঘুঘুদহ, গৌরী গ্রাম, দোপমাজগ্রাম, ধাতালপুর, ক্ষেতুপাড়া, মিয়াপুর, বহলবাড়িয়া, বানিয়াবছ, গাঙ্গোহাটি এবং পার্শ্ববর্তী বেড়া উপজেলার জগন্নাথপুর, হাটুরিয়া, নাকালিয়াসহ ১৫টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন কচুরিপানা বিক্রি করতে আসেন। দিনে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ মণ কাঁচা এবং ৫ থেকে ৭ মণ শুকনা কচুরিপানা কেনাবেচা হয়। প্রতি মণ কাঁচা কচুরিপানা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় আর শুকনা বিক্রি হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়।

সূত্র জানায়, কচুরিপানা থেকে তৈরি পণ্য তাঁরা হস্তশিল্প রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিডি ক্রিয়েশনে বিক্রি করেন। খুলনার একটি কারখানাতেও পণ্য ও কচুরিপানা সরবরাহ করেন। সেখানে কচুরিপানা থেকে কাগজ, কাগজের পুতুল, নোটবুক, ওয়ান টাইম গ্লাস, প্লেটসহ বাহারি পণ্য তৈরি হচ্ছে।

 

কচুরিপানা দিয়ে এই কুটিরশিল্প কীভাবে শুরু হলো, জানতে চাইলে জয়তুন খাতুন বললেন, ‘আমার স্বামী-শ্বশুর বেতের ব্যবসা করতেন। তিন বছর আগে মাথায় আসে বেতের জিনিসপত্র এতো দাম দিয়ে যাঁরা কেনেন, তাঁরা কীভাবে কী করেন, কেন কেনেন, সেটা দেখা দরকার। আমার স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় যাই। বিডি ক্রিয়েশনে গিয়ে জানতে পারি, কচুরিপানা দিয়েও নানা রকম পণ্য তৈরি করা যায়। আমাদের মনে হলো, আমরাও তো এটা করতে পারি। তখন বিডি ক্রিয়েশনকে বলি, আমাদের শিখিয়ে দিন। সেখান থেকে তিনজন মাস্টার আমাদের গ্রামে এসে হাতেকলমে শিখিয়ে দেন। এভাবেই শুরু করি। তারপর গ্রামের নারীদের এ কাজে সম্পৃক্ত করি। এখন ৩০ থেকে ৪০ জন নারী কচুরিপানা দিয়ে পণ্য তৈরির কাজ করছেন। বর্তমানে ১০ রকমের পণ্য তৈরি করে বিক্রি করছি। খরচ বাদে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়।

সরকারিভাবে সহোযোগিতা ও অল্প সুদে ঋণ পেলে আরও অনেক কিছু করা সম্ভব। রফিকুল ইসলাম বললেন, ‘বিডি ক্রিয়েশন আমাদের সহযোগিতা করছে। কোম্পানি থেকে অর্ডার নিয়ে এসে নিজেকে অর্থলগ্নি করে কাজগুলো তুলতে হয়। এনজিও থেকে যে ঋণ নেই, সেটার অনেক সুদ। লাভ খুব একটা থাকে না। তাই সরকার যদি আমাদের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে এলাকার অনেক মানুষের কাজের ব্যবস্থা হবে।

সাঁথিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, আমাদের পক্ষ থেকে ঋণদানের সুবিধা আছে। যদি জয়তুন খাতুন-রফিকুল দম্পতি আমাদের কাছে আবেদন করেন, তাহলে আড়াই শতাংশ সার্ভিস চার্জে ঋণ দিতে পারবো। সেই সঙ্গে এই কুটিরশিল্পকে ঘিরে একটি প্রকল্প প্রস্তাব দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে গ্রামের আরও বেশি নারীকে এই কাজে সম্পৃক্ত করা যায়।

বিডি ক্রিয়েশনের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মাহবুব আলম জানান, ২০২০ সাল থেকে আমরা কচুরিপানা দিয়ে পণ্য তৈরির কাজ শুরু করি। ওই বছরের শেষ দিক থেকে সাঁথিয়ায় জয়তুন-রফিকুল দম্পতি আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন। বিডি ক্রিয়েশনের কর্ণধার আবদুর রহমান জানান, আটটি দেশে কচুরিপানার তৈরি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। প্রতিবছর দেড় থেকে দুই কোটি টাকার এসব পরিবেশবান্ধব পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD