মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা ও সেভ দ্য চিলড্রেনের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিটি কর্পোরেশন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ৭জুন,আন্দকিল্লাস্থ চসিক কে বি আব্দুস সাত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
জলাশয় ভরাট ও পাহাড় কর্তনে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ কে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।আজকের চট্টগ্রাম একসময় প্রচুর জলাশয়ে ভরপুর ছিলো, কিন্তু নতুন কৌশল হিসেবে একশ্রণীর লোক প্রথমে জলাশয়গুলো ময়লা আবর্জনায় ভরাট করছে,পরে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। একইভাবে পাহাড় বেষ্টিত চট্টগ্রামে একশ্রেণির প্রভাবশালী লোকজন রাতের অন্ধকারে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত সেখানে বিল্ডিং করার অনুমতি না দেয়া,একইভাবে যদি বিদ্যুৎ,গ্যাস ইত্যাদি সংযোগ দেয়া না হয় তাহলে পাহাড়কাটাও বন্ধ হয়ে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সকল ডিপার্টমেন্টকে এ-ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা রাখার আহবান জানান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এর পরিচালনায় সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইপসা (প্রয়াস-২) প্রকল্প সমন্বয়কারী সানজিদা আক্তার। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর জন্য প্রণীত মাল্টি হ্যাজার্ড কন্টিজেন্সি প্ল্যান এর উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক মো. শাহজালাল মিশুক। প্রেজেন্টেশন শেষে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চসিক প্যানেল মেয়র মো.গিয়াস উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট অফ বাংলাদেশ চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদার, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, ইউএনডিপির টাউন ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুণ পাশা, কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারী, কাউন্সিলর শহিদুল আলম, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপ পরিচলক মো. সেলিম আহমেদ, দৈনিক পূর্বকোণ এর স্টাফ রিপোর্টার ইমরান বিন ছবুর, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চসিক নগর স্বেচ্ছাসেবক সমন্বয়কারী আতিকুর রহমান সায়েম প্রমূখ।
আলোচকবৃন্দ মাল্টি হ্যাজার্ড কন্টিজেন্সি প্ল্যান কে একটি যুগান্তকারী দলিল হিসেবে আখ্যায়িত করে এটি বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগ এবং আর্থিক সংস্থান খুবই জরুরী বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ আরবান কমিউনিটি ভলান্টিয়ারগণকে দুর্যোগ মোকাবিলায় মৌলিক প্রশিক্ষণের আওতায় এনে আরো বেশি উদ্যোগী করে তোলার ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য যে ইপসা এবং সেভ দ্য চিলড্রেন (প্রয়াস-২) প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ সাল থেকে কনসালটেন্সি লপ্রতিষ্ঠান GPAD এর সহায়তায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর সাথে কয়েক দফা মিটিং, ওয়ার্ড পর্যায়ে পরিভ্রমণ, কে আই আই, এফজিডি, বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে মতামত গ্রহণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জন্য ” মাল্টি হ্যাজার্ড কন্টিজেন্সি প্ল্যান” তোরি করে। পরবর্তী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতিবেদন টি চুড়ান্ত হয়। আপদকালীন কর্ম পরিকল্পনায় চট্টগ্রামের নানাবিধ দুর্যোগের উৎস বর্ণনা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণের বিষয়গুলো বিশদভাবে তুলে ধরা হয়।
Leave a Reply