সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দিরাই ও বিশম্ভরপুর উপজেলায় আলাদাভাবে বজ্রপাতে ১ জেলে ও ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে দিরাইয়ের চরনারচরের এক জেলে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার নাম মো. আব্দুল মালেক। তিনি জেলার দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের পশ্চিম দৌলতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে । অপর ২জন হলেন জয়নাল মিয়া(৪০),তিনি জেলার বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের মাঝেরটেক গ্রামের শিশু মিয়ার ছেলে এবং অপরজন একই ইউনিয়নের জিনারপুর গ্রামের মো. ফরহাদ মিয়ার ছেলে মো. সেলিম মিয়া(২৫)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের চরনারচর গ্রামের আব্দুল মালেক প্রতিদিনের ন্যায় সকালে পাশর্^বর্তী হাওরে মাছ ধরতে যান। প্রচুর বৃষ্টিপাতের মাঝে হঠাৎ বজ্রপাতে তার পুরো শরীর জ¦লে সে ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
অপরদিনে একই সময়ে জেলা বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের দুই শ্রমিক কাজের সন্ধানে ধোপাজান নদীতে বালু উত্তোলনকালে হঠাৎ বজ্রপাতে ২ জন শ্রমিক শুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে রাস্তায় তাদের মৃত্যু হয়। হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অ লে এই বর্ষার মৌসুমে বজ্রপাতের প্রবণতা বেশি থাকায় সাধারন খেটেখাওয়া,দিনমুজুর শ্রমিমরা ঘর হতে বের হতে ভয় পাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ধনপুর ইউনিয়নের সাবেক দুইবারের ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিক ইসলাম তালুকদার জানান,এখন প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়ে আমাদের হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে। বৃষ্টিপাতের মাঝে প্রচন্ড বজ্রপাতে ইতিমধ্যে অনেক শ্রমিক ও দিনমুজুরের মৃত্যু হচ্ছে। তিনি পুরো জেলায় বজ্রপাত নিরোধ যন্ত্র দ্রত বসাতে সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কাজি মোক্তাদির হোসেন চৌধুরী এক জেলের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে বিশম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. সাইফুল আলম বজ্রপাতে ২ জন শ্রমিকের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।