ওবায়দুর রহমান, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি।
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর ইউপির রাজপাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনটি পদে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়োগ বাণিজ্য,স্বজনপ্রীতি ও প্রতারণা করে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে ঐ স্কুলে নির্বাচিত ৪জন সদস্য আব্দুল্লাহ মিয়া,ইউসুফ আলী,ইয়াদুল মোল্যা ও মহিদুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন। তারা বলেন,বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শ্রী ইন্দ্রজিৎ কুমার বিশ্বাস ওরফে ডেকরেটার ইন্দ্রজিৎ ও প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মন্ডল যোগসাজশে আমাদের সাথে প্রতারণা করে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের জন্য কমিটি গঠন করা হবে বলে ফাঁকা রেজুলেশন খাতায় আমাদের বেশ কয়েকটি স্বাক্ষর নেন,এখানে কিছু লেখা নেই কেন জানতে চাইলে,হেডমাস্টার বলেন পরে আমরা কাকে কেথায় কি দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটা সুন্দর ভাবে লেখা হবে,আমরা সরল বিশ্বাসে তাদের সেই ফাঁকা খাতায় স্বাক্ষর করি।পরে আমরা জানতে পারি আমাদের সেই স্বাক্ষর গুলো নিয়োগের রেজুলেশনের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।এর পরবর্তীতে আমাদের জানতে পারি আয়া পদে শিয়ালজুড়ী গ্রামের আলেয়ার কাছ থেকে ১১লক্ষ,পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে হেডমাস্টারের ভাগ্নে শন্তু বিশ্বাসের কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা নিয়ে গত মে মাসে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে,আর এ মাসের ১৬ জুন সভাপতির ভাস্তে সৌরভ বিশ্বাসের কাছ থেকে ১০লক্ষ টাকা নিয়ে অফিস সহায়ক পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে,সেটা পরে আমাদের জানান তারা।এই নিয়োগের জন্য কোনো সার্কুলার দেওয়া হয়েছে কিনা সেটাও আমাদের জানানো হয়নি,এমনকি নোটিশ বোর্ডেও এটা লাগানো হয়নি,তারা স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য কাউকে এটা জানতে দেয়নি।আমরা শিক্ষা অফিস ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অফিসসহ সরকারের কাছে আমাদের দাবি, এই অবৈধ,স্বজনপ্রীতি,নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রতারণা করে নেওয়া স্বাক্ষরের নিয়োগ বাতিল করে একটা ফেয়ার নিয়োগ দেওয়া হোক। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মন্ডল বলেন,প্রতারণা করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি,এবং টাকা নেওয়ার বিষয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন,ওটা সম্পর্কে সভাপতি সাহেব জানেন।এ বিষয়ে ঐ বিদ্যালয়ের ৫ বারের সভাপতি শ্রী ইন্দ্রজিৎ কুমার বিশ্বাসকে মোবাইল ফোনে কল করা হলে,প্রথম বার কল ঢুকলেও পরে অনেক বার চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, পরে তার বাড়িতে গেলে বাড়ীর লোকজন জানান তিনি বাড়ীতে নেই।