বিশেষ প্রতিনিধি
হত্যা,ধর্ষন ও হত্যাচেষ্টাসহ ৪টি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামী দিদারুল ইসলাম প্রকাশ দিদার’কে দীর্ঘ ৯বছর পলাতক থাকার পর রাঙ্গুনিয়া হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম।
অদ্য ২১জুন অভিযানে রাঙ্গুনিয়া থানাধীন মোহাম্মদপুর এলাকায় অবস্থানকালে করে আসামী দিদার,কে পিতা-মোঃ আব্দুর রহমান, সাং-মোহাম্মদপুর,থানা-রাঙ্গুনিয়া, জেলা-চট্টগ্রামকে আটক করতে সক্ষম হয়।
গত ১৬নভেম্বর-১৪ইং দুপুরে ইসলামপুর গলাচিপা আজিজ মেম্বারের চায়ের দোকানের সামনে নিহত ভিকটিম মাহবুব ও সঙ্গীয় মোঃ আমিন অবস্থানকালে আসামী দিদার'সহ দুস্কৃতিকারীরা ভিকটিমদ্বয়কে অপহরণ করে বখতিয়ারের বালুর মাঠে নিয়ে একটি খামার বাড়িতে হাতুড়ি ও লাঠি নির্মমভাবে আঘাত করে হাত-পা ভেঙ্গে ফেলে এবং চাকু দিয়ে পায়ের রগ কেটে মারাত্মক জখম করে। চা বাগানের পাশে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি রোড়ের পশ্চিম পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে মাহবুব সেখানে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়। মোঃ আমিন দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে পঙ্গু অবস্থায় বেঁচে আছেন। এ ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় দীর্ঘতদন্ত শেষে চট্টগ্রাম সিআইডি আসামী সহ অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে গত ৩১মার্চ-১৭ সালে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলে বিজ্ঞ আদালত বিচার কার্যক্রম চলাকালে আসামী পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন।
গোপন সূত্রে আসামী দিদার'কে রাঙ্গুনিয়া থানাধীন মোহাম্মদপুর এলাকায় অবস্থানকালে একটি আভিযানিক দল আটক করে। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা,ধর্ষন ও হত্যা চেষ্টা মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে।
আসামী দিদারুল এর বিরুদ্ধে বর্ণিত মামলা ছাড়াও পাঁচলাইশ থানা ও রাঙ্গুনিয়া থানার মামলায় পেনাল কোড এ বিজ্ঞ আদালত কতৃর্ক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হয়। আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তথ্য নিশ্চিত করেছেন,র্যাব-৭ এর সহকারী সিনিয়র পরিচালক নূরুল আবছার