মাসুদ রানা,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;
কয়েকদিন পরে সারা দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই সবাই নিজ সামর্থ্যের মধ্যে পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে ছুটছেন হাট থেকে হাটে। এখন পছন্দের পশু কেনাই যেন সবার কাছে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দিনাজপুরের খানসামার পাকেরহাটে জমে উঠেছে গরুর হাঁট।
সরেজমিনে শনিবার (২৪ জুন) সাপ্তাহিক হাঁটবারে পশুরহাট ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় ও দূর দূরান্ত থেকে খামারি ও ব্যবসায়ীরা গরু, খাসি, ছাগল ও ভেড়া নিয়ে হাটে এসেছেন। ক্রেতারা চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী পশুর দরদাম করছেন। ক্রেতা-বিক্রেতার মিলনমেলায় জমে উঠেছে গরুর হাঁট। হাটের চারিদিকে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে উপচেপড়া দর্শণার্থী। লাল-কালো-সাদা রংঙের বাহারি গরু দেখতে ক্রেতাদের দেখা যায় ঘুরতে হাঁটের এদিক-ওদিক। হাটে প্রচুর পরিমাণে গরু আমদানি হচ্ছে। বিক্রিও বেশ জমে উঠেছে। তবে এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু দেখা না গেলেও বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েই গরু কেনাবেচায় খুশি নন। ক্রেতাদের অভিযোগ- দাম বেশি আর বিক্রেতাদের অভিযোগ তেমন দাম মিলছে না। আশানুরুপ দাম না পেয়ে নাখোশ বড় আকারের গরুর মালিকরা।
তবে বিক্রেতাদের অভিযোগ খড়, ভুষিসহ বিভিন্ন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা বছর একটি গরু পালন করতে যে ব্যয় হয় সে তুলনায় গরুর দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতা বা খামারীরা।
ছাগল কিনতে আসা আমিন বলেন, ‘কোরবানি পশু হিসেবে এবার ছাগল বেছে নিয়েছি। কিন্তু অন্য বছরের চাইতে দাম বেশি মনে হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে পেলে একটা ছাগল কিনে বাড়ি ফিরব।’
গরু কিনতে আসা সুজন ইসলাম বলেন , ‘ভাগে ৮০-৯০ হাজার টাকার মধ্যে একটি গরু কোরবানি দিবো। তবে, দাম বেশি চাওয়ায় চিন্তায় পড়েছি। বাজার তো মাত্র শুরু, মিল মতো পেলে কিনে ফেলব।’ যে দামেই গরু কেনা হোক না কেনো ঈদের দিনে পশু কোরবানির মধ্য সবার মনের পশুত্ব দূর হবে এই আশা সকলের।'
এদিকে জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে যেন, সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করতে না পারে। সে জন্য পশুর হাটে ইজারাদার ও পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তায় কাজ করছে।