শিরোনাম হীন
গৌরী বুলবুল
তুমি দেখছো কিনা
ভরা বর্ষার রাতে
কেমন খাঁ খাঁ জোছনা আজ!
আমার চড়ায় ভাসানো
ছোট ডিঙ্গিতে করে,
এমন জোছনা রাতে
ভাসতে চেয়েছিলে তাই না?
গুনগুন সুরে আপন গলায়
শুনাতে চেয়েছিলে যে গান,
সে গানের কথা মালায়
বসেছে ভীনদেশি শব্দ জানি।
আমি সেই ছোট ডিঙির বৈঠাধর
অথচ তুমি সাম্পান পেয়ে
হয়েছো সওদাগরের দস্তিদার!
(আমার আলয়)
চাঁদ বসে নেই,
পঞ্চতারাও নিশুতির ইতি টানবার গেছে বেঁকে
খেক শিয়ালেও ঘুমিয়ে গেছে খাপালের শিকার রেখে।
মাঝে মাঝে চাঁদ লুকোচুরি খেলে
জটলা মেঘের সাথে
ধইঞ্চাগাছের আড়াল থেকে
কে যেন আমায় ডাকে!
হয়তো ভূত হবে
শ্বশান থেকে আসা
তাকালে কিছু পাইনা খুঁজে
সে যে আমার অতীত ভাষা!
আড়িয়াদহে অষ্টপ্রহর
ডিঙি নাওয়ে ভাসা
ড্যাবড্যাবে ধান সারা রাত করে
নিওরের প্রত্যাশা।
মাটি,বায়ু,জল,অগ্নি,আকাশ
আমারি পঞ্চভূতে
একযুগ আগে নারী হয়ে এসে
ছলনা করে গেছে!
আমি সেই যুগ আঁকি
পাগল পাখি,
আকাশ দেখি একা
ছলনার চাঁদ প্রথম প্রহরে
কেন তুমি হও বাঁকা?