1. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  2. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  3. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
দুর্গাপুরে শিশু ও নারীসহ ৯ জনকে কামড়ানো সেই শিয়ালকে পিটিয়ে হত্যা করেছে গ্রামবাসী সেতু থাকলেও কাজে আসছেনা” ভোগান্তিতে ঝিনাইগাতীর ১৫ গ্রামের মানুষ নওগাঁ জেলা অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর সম্পাদক কবির শেরপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪শ বস্তা সার জব্দ নওগাঁর নিয়ামতপুরে সহকারী কমিশনারের বাসায় গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা বন্ধুত্বের গল্প শেষ হয় না, সময়ের সঙ্গে মধুর হয় নওগাঁয় বিএনপি নেতার উদ্যোগে ২ হাজার শীতার্ত পেল শীতবস্ত্র জামিনে মুক্তির পর জেল গেট থেকে আটক রাজশাহী বাগমারার সাবেক এমপি কালাম ছাত্র ও শ্রমিক দলের সভাপতি”কে হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন রাজশাহীতে চায়না নববর্ষ উদযাপন করলো আদিবাসী সম্প্রদায়
শিরোনাম:
দুর্গাপুরে শিশু ও নারীসহ ৯ জনকে কামড়ানো সেই শিয়ালকে পিটিয়ে হত্যা করেছে গ্রামবাসী সেতু থাকলেও কাজে আসছেনা” ভোগান্তিতে ঝিনাইগাতীর ১৫ গ্রামের মানুষ নওগাঁ জেলা অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর সম্পাদক কবির শেরপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪শ বস্তা সার জব্দ নওগাঁর নিয়ামতপুরে সহকারী কমিশনারের বাসায় গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা বন্ধুত্বের গল্প শেষ হয় না, সময়ের সঙ্গে মধুর হয় নওগাঁয় বিএনপি নেতার উদ্যোগে ২ হাজার শীতার্ত পেল শীতবস্ত্র জামিনে মুক্তির পর জেল গেট থেকে আটক রাজশাহী বাগমারার সাবেক এমপি কালাম ছাত্র ও শ্রমিক দলের সভাপতি”কে হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন রাজশাহীতে চায়না নববর্ষ উদযাপন করলো আদিবাসী সম্প্রদায়

লালমনিরহাটে তীব্র হচ্ছে তিস্তা নদীর ভাঙ্গন

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩

 

রাসেল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ

 

লালমনিরহাটের প্রধান নদী তিস্তায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি স্থানে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। গত দুই দিনে প্রায় শতাধিক বসতভিটা, কয়েক শত বিঘা আবাদি জমি ও ফলের বাগান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

হামাক তিস্তার ভাঙ্গন থাকি বাঁচান। ঘরদুয়ার নদীতে চলি গেইছে। এই নদী হামাক শ্যাষ করি দিছে। এখন রিলিফ-স্লিপ কিছুই চাই না। নদীর বাঁধ চাই। হামার ঘরদুয়ার ভাসি গেইছে। আর কারো ঘর যেন ভাসি না যায়। এভাবেই কান্না জড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের বাগডোরা গ্রামের আহিলা বেওয়া (৫৫)। শুধু আহিলা না তার মতো আরও অনেকে এখন নদী ভাঙ্গনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এরই মধ্যে ওই এলাকার ২৫টি বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। পরিবার গুলো বাঁধের রাস্তায় ও অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছে।

কয়েক দফা বন্যার পর তিস্তার পানি নেমে যাওয়ায় জেলার বেশ কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ জন। হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ বাগডোরা, আদিতমারী উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি ও হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না গড্ডিমারি এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। এছাড়া তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকার কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। এসব জায়গায় শত শত বসতভিটা, ফসলি জমি, গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

সদর উপজেলার বাগডোরা গ্রামের বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, ভিটাবাড়ি আর বাবা-মায়ের কবর তিস্তা গিলে খেয়েছে। এবারসহ চারবার বাড়ি ভেঙে গেল। অন্যের জমিতে বাড়ি করে থাকি। কিছু টাকা জোগাড় করে একটা জমি কিনে বাড়ি করছি। সেই বাড়িও নদীতে ভেঙ্গে গেল। এখন থাকার জায়গা নেই। যাওয়ারও কোনো পথ নেই।

একই এলাকার গফুর মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে মোর বাড়িটাও ভাঙ্গিয়ে গেল। তিনদিন ধরে ঘুম নাই, খাওয়া নাই। পরিবার নিয়ে কই যামু কোনো দিশা পাই না।

শফিকুল ইসলাম বলেন, রোজগারের জন্য ঢাকায় ছিলাম। বাড়ির লোকজন ফোনে জানালো জমি-বাড়ি ও গাছপালা সব নদী ভাঙ্গনে। তাই ছুটে এলাম। এসে দেখি সব শেষ হয়ে গেছে।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা চন্ডিমারীর বাসিন্দা খয়বর হোসেন বলেন, তিস্তার পানি কমে যাওয়ায় আবার নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছি। সরকার থেকে জিও ব্যাগ ফেললেও কাজে আসছে না।

খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান মন্ডল বাদল বলেন, উজান থেকে পানির সঙ্গে বালু এসে মূল নদী বন্ধ হয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। ফলে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। ভাঙ্গন কবলিত অনেক পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। এসব পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের লালমনিরহাট জেলার সভাপতি শফিকুল ইসলাম কানু বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা সভা-সমাবেশ করছি। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এ এলাকার দুঃখ-দুর্দশা, নদী ভাঙ্গন আর থাকবে না। নদী ভাঙ্গন ও বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে দ্রুতই স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি তার।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, দ্বিতীয় দফায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর এখন কমতে শুরু করছে। এতে করে লালমনিরহাট সদর উপজেলা ও আদিতমারী উপজেলার কয়েকটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। তবে ভাঙ্গন ঠেকাতে আপদকালীন কাজ হিসেবে বিভিন্ন পয়েন্টে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD