সুমন ইসলাম,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয়েছে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের দৌড়ঝাপ।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেকে যোগ্য, স্মার্ট ও দূরদিনে দলের পাশে থাকা এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো। তিনি বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ২০১১ সাল হতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি, ঠাকুরগাঁও জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি, জেলা ফুটবল ফেডারেনের সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন।
এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটোর জন্ম ১৯৬৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। তিনি শিক্ষা জীবন শুরু করেন ঠাকুরগাঁও থেকে। শহরের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ সালে এসএসসি পাশ করার পর ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ হতে ১৯৮৩ সালে এইচএসসি, ১৯৮৫ সালে বি.কম সম্পন্ন করে ২০১২ সালে এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি বামধারার ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং বিভিন্ন দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। ১৯৯৭ সাল হতে ২০০৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৫ সাল হতে ২০১২ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ছিলেন। এরপর জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং ২০১২ সালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে পূনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকায় আ’লীগের নেতা-কর্মী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচী তুলে ধরে ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিভিন্ন স্থরের মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করছেন। তিনি মনে করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ এবং তিনিও চান প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় পরিচ্ছন্ন যোগ্য এবং স্মার্ট প্রার্থী মনোয়ন দেওয়া। ২০০১ সালে জামাত ক্ষমতায় আসার পর মিথ্যা মামলা, হয়রানি, নির্যতানের শিকার হয়ে এলাকা ছাড়া হন। বিশেষ ক্ষমতা আইনে ডিটেনশন দেওয়াসহ ৮টি মামলা দেওয়া হয়। ২০০৭ সালে এই সকল মিথ্যা মামলার কারণে ৭ মাস কারাবরণ করতে হয়েছে এই নেতাকে। ২০০৪ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ডাকে সকল আন্দোল সংগ্রামে যুবলীগকে ঐক্যবদ্ধ করে বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেন তিনি।
এতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা মামলা দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় ষড়যন্ত্র, বিএনপি জামাতের নাশকতায় ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে না পারায় ১ লাখ ১৮ হাজার ভোট পেয়ে অল্প ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তিনি।পরবর্তীতে তিনি ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকার প্রতিকে নির্বাচন করেন। সেই নির্বাচনে ১ লাখ ২৬ হাজার ভোট পেয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা পূর্বক বাস্তবায়ন করে চলেছেন, যা ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতি মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য যে সেবা ,বিধবা ভাতা ,বয়স্ক ভাতা,স্বামী পরিতেক্তা ভাতা ,মাতৃকালীন ভাতা,গৃহহীনদের ঘর সেটি তিনি নিশ্চিত করেছেন,বর্তমানে মানুষকে সার-বীজের জন্য কষ্ট করতে হয়না ,বিদ্যুতের জন্য কষ্ট নেই ; ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ চলে গেছে এবং নেত্রী ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে এসে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষনা দিয়েছেন সেটিও বাস্তবায়নের পথে,এখানে শেখ ওয়াজেদ ইনজিনিয়ারিং কলেজ হতে যাচ্ছে সেটিও বাস্তবায়নের পথে,এছারাও ইকোনোমিক জোন হবে।এইযে বিশাল কর্মযোগ্য অনুষ্ঠান যেটিতে মানুষের অর্থনৈতিক পরিবর্তণ আসবে এবং এই এলাকার মানুষ এসব থেকে সুফল পাবে ; এজন্য এ এলাকার মানুষ সারাজীবন আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে আসছে এবং এ এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে আগামী দিনে নৌকা প্রতিককে ভোট দিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ।
তিনি আরো বলেন,স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত যতবার নির্বাচন হয়েছে শুধূমাত্র একবার বিএনপি এ অন্চলে ভুয়া ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিল।বাংলাদেশের মানুষ জানে ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাটি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি নিজেও একজন মনোনয়ন প্রত্যাশি। তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা আমার ওপর আস্থা রাখেন। এ ছাড়া সাধারণ মানুষ সদর আসনে পরিবর্তন চায়।