নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার জন্য অর্ধকোটি টাকার মিশন নিয়ে দেন দরবারের মাঠে নেমেছে বহুল অপকর্মের হুতা মকবুল হোসেন মিথুন। তার বিরুদ্ধে কিশোরী ধর্ষনকারীদের সহযোগিতা, ইয়াবা পাচার, ইয়াবা পাচারকারিদের আশ্রয় পায়, টেন্ডারবাজি জেলা,উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে অসজৈন্যমূলক আচরণ সহ সর্বশেষ সম্প্রতি ১২ মার্চ/২০২৩ ইং উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনে টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প হতে যুবক, কিশোরদের এনে মম্মেলনে যোগাদান করা সহ একাধিক অভিযোগ ওঠেছে। সূত্রে জানা যায়, সে তার এহেন কর্মকান্ডকে ধামাচাপা দিতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রভাবশালি নেতাকে ম্যানেজ করে উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক পদ পওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয় যুবলীগ নেতা কর্মীদের সূত্রে জানাগেছে মকবুল হোসেন মিথুনের আপন চাচা উখিয়া উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি এবং একজন পেশাদার চোরাকারবারি ও অবৈধ ভাবে মিয়ানমারে তেল পাচারকারী, বিএনপি জামায়াতের সরকার বিরুদ্ধী আন্দলনের অর্থ যোগানদাতা তার আপন মামা মাহমুদুল হক মেম্বার একজন সক্রিয় জামায়াত নেতা ও সাবেক শিবির ক্যাডার। দলীয় পদ পাওয়ার বিশেষ তদবির করার জন্য ঐ জামায়াত- বিএনপি’র আত্মীয় স্বজনরা তাকে মোটা অংকের টাকা দিয়েছে মর্মে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তাছাড়া উখিয়া উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি নুরুল হোছাইন আযাদের সাথে রয়েছে তার গোপন সক্ষতা। অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োষিত বিভিন্ন বেসরকারী এনজিওতে কাজে এ মিথুন তাদের টেন্ডার কাজে অবৈধ ভাবে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ব্যাপক টেন্ডারবাজি করে। তাছাড়া সে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইফতেখার হিব্রু নামের এক স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীকে এনে ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ দেয়। পরবর্তীতে সেই ইফতেখার ঢাকায় কায়েক হাজার ইয়াবাসহ র্যাবের হাতে আটক হয়। পরে তার সহযোগিতায় ঐ ইয়াবা পাচারকারী জামিনে আসে। আরও অভিযোগ উঠে উখিয়া বহুল আলোচিত মায়ের সাথে হাসপাতালে গিয়ে ধর্ষনের শিকার কিশোরির ধর্ষকদের সাথেও নাকি মিথুনের প্রশ্রয়দান সহ সখ্যতা রয়েছে। এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবে ধর্ষনের শিকার কিশোরির পরিবারের পক্ষ হতে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক যুবলীগ কর্মী জানান মিথুন তার বিভিন্ন অপকর্মের দাপট খাটানোর উদ্দেশ্যে ঢাকায় গিয়ে যুবগীলের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার জন্য দেন দরবার চালাচ্ছেন। সম্প্রতি মিথুন এলাকার বিভিন্ন জনকে বলে বেড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক প্রভাবশালী সাংঘটনিক টীমের সদস্য এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে নগদ ৫০ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছেন, “ জেলা অথবা উপজেলার শীর্ষ যেকোন একটি পদে তার নাম আসবেই, এতে সন্দেহ নাই।” মিথুনের এহেন বিতর্কিত কর্মকান্ডের বিষয়ে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন মিথুনের ব্যাপারে তিনি অনেক অভিযোগ পেয়েছেন। এধরনের বিতর্কিত ব্যক্তিকে যুবলীগের মত গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদে পদায়ন করা হলে দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হাসান খান নিখিল এর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন সম্মেলনের সময় আমি ঐ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। সম্মেলনের শেষে সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারি মিথুন নামের এক যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে নাকি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে লোক আনা হয়েছে। এই ছেলেটার বিষয়ে আমি আরও অনেক অভিযোগ শুনেছি। এবিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। যুবলীগ একটি আদর্শ সংগঠন, এখানে কোন দূর্নীবাজ, পদ কমিটি বানিজ্যকারীর স্থান নাই। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল রিসিভ হয়নি। অভিযুক্ত মকবুল হোসেন মিথুনের কাছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় কমিটি যাচাই বাচাই করে একটি সুন্দর শক্তিশালী উখিয়া উপজেলা যুবলীগের কমিটি উপহার দেবেন বলে আশারাখি ।
Leave a Reply