নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক এ,বি,এম,তৈমুর আলী গত ০২/০৮/২০২৩ ইং তারিখে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানাধীন গোপীনাথপুর বাজারস্থ ফজলুর চায়ের দোকানে চা পান করাকালীন সময়ে মফিদুল ইসলাম(৪৫) এর নেতৃত্বে সুজন হোসেন(৩২) এবং শামীম(৩০) লোহার রড ও বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া সাংবাদিককে ঘিরিয়া ধরে। মফিদুল ইসলাম(৪৫) হুকুম দিয়া বলে যে,শালাকে জানে মারিয়া ফেল।হুকুম পাওয়া মাত্রই সুজন হোসেন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া হত্যা করার অসৎ উদ্দেশ্যে সাংবাদিকের মাথা বরাবর বাড়ি মারিলে মাথা টান দিলে উক্ত বাড়ি বাম কর্ণের উপর লাগিয়া কর্ণের পর্দা ফাটিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।উক্ত আঘাতের কারণে তাহার কর্ণে প্রচন্ড যন্ত্রণা হয় এবং শ্রবণ শক্তি নষ্ট হইয়া যায়। শামীম তাহার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি এবং হাঁতুড়ি দিয়া তাহার বাম পায়ের গিরা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলো পাতাড়িভাবে পিটাইয়া মারাত্মক নীলাফোলা জখম করে।ওই সময়ে সাংবাদিকের পিছনের পকেট মানিব্যাগে থাকা ১৫ হাজার টাকা এবং একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন নিয়া নেয়।সাংবাদিক এ,বি,এম, তৈমুর আলীর গলায় থাকা সাংবাদিকতার পরিচয় পত্র ছিনাইয়া নেয়।এলাকার লোকজনের সামনে মফিদুল ইসলাম,সুজন হোসেন এবং শামিম দুই হাতে অস্ত্র উঁচু করিয়া খুন জখমের হুমকি দিয়া বলে যে,উক্ত বিষয় লইয়া মামলা মোকদ্দমা করিলে তোকে জানে মারিয়া ফেলিবো এবং যাহারা সাক্ষী দিবে তাদের হাত পা কাটিয়া লইবো। সাক্ষীরা ঘটনাস্থল হতে সাংবাদিক এ,বি,এম, তৈমুর আলীকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করান।তাহার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পথ চালিত অটো ভ্যানযোগে দ্রুত মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আনিয়া ভর্তি করিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। হসপিটালে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে তিনি গত ১৭ই আগস্ট ২০২৩ ইং মাগুরা জজ কোর্টে ৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭১/৫০৫(২)/১১৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।দুইজন আসামি মফিদুল ইসলাম(৪৫)এবং শামীম(৩০) জামিন নিলেও ৩২৬ ধারা মামলার প্রধান আসামী সুজন হোসেন(৩২) পলাতক রয়েছে।