আব্দুল মজিদ মল্লিক,আত্রাই (নওগাঁ) থেকে :
নওগাঁর আত্রাইয়ে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল নিয়ে গ্রাহকেরা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। বিগত দিন যে পরিমাণ বিল করা হয় হঠাৎ করে এ মাসে তার কয়েকগুণ বেশি বিল করে গ্রাহকদের দেয়া হয়েছে। গ্রাহকেরা এ বিল নিয়ে চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।
বিহারীপুর গ্রামের গৃহবধূ লাকি বানু বলেন,আমার বাসার এক ইউনিটির মিটারে গত কয়েক দিন আগে পরিবর্তন করা হয়েছে। চলতি মাসে এ মিটারের অনুকূলে যে বিল দেয়া হয়েছে তাতে ব্যবহৃত ইউনিট উল্লেখ্য নেই।
প্রাক্কলিত বিল বলে ভুতুড়ে বিল করা হয়েছে। এটি সংশোধনের জন্য গত রোববার স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলে তারা আমাকে না দেখিয়েই পূর্ববর্তী মিটারের ১৩৪ ইউনিটসহ বর্তমান মিটারের ইউনিট সংযোগ করে আকাশচুম্বি বিল কষে দেন। যা এ বাসা নির্মাণের পর থেকে অদ্যাবধি কোন দিনই এ পরিমাণ বিল আসেনি।
মহাদিঘী গ্রামের খোরশেদ আলম বলেন, অন্যান্য মাসে আমার বিল আসে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। অথচ এ মাসে বিল এসেছে ১ হাজার ৫৫ টাকা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলে তারা আমাকে মিটার পরিবর্তনের পরামর্শ দেন। মিটার পবির্তন করতে গেলেও বিদ্যুৎ অফিসকে আমার বাড়তি টাকা দিতে হবে।
শাহাগোলা গ্রামের সোহেল হোসেন বলেন, গত মাসের তুলনায় এ মাসে আমার পাঁচগুণ বেশি বিল এসেছে। পরে দেখা গেল আমার ব্যবহৃত রিডিং থেকে অনেক বেশি রিডিংয়ে তারা বিল করেছেন। মির্জাপুর গ্রামের আক্কেল আলী বলেন গত মাসে আমি বিল দিয়েছি ৬০০ টাকা এ মাসে আমার নামে বিল এসেছিল ২৭ হাজার টাকা, পরে আমি স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলে সেটা তারা সংশোধন করে ১হাজার ৫০ টাকা বিল করেন। এভাবে এ উপজেলায় শত শত গ্রাহক প্রতিনিয়ত ভুতুড়ে বিল নিয়ে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।
এ ব্যাপার নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আত্রাই জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল আলিম বলেন, গ্রাহক হয়রানী ঠিক না। তবে বিভিন্ন সময় বিলিং শাখার কিছু সমস্যা আসে আমরা যতদূর সম্ভব সেগুলো সমাধান করে দিই।তিনি আরো বলেন লাকি বানুর মিটারে প্রাক্কলিত বিল করা ঠিক হয়নি। যেহেতু তার মিটার পরিবর্তন করা হয়েছে। সেহেতু পূর্ববর্তী ও পরবর্তী মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল করা উচিত ছিল।
আব্দুল মজিদ মল্লিক
আত্রাই (নওগঁ) প্রতিনিধি
Leave a Reply