মো: জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি।
শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলের বিরুদ্ধে আবারও একটি নাশকতা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সাথে ওই মামলায় ৬ বিএনপি, যুব ও ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলায় বিএনপি সভাপতি রুবেলকে ৭ নং আসামী করে ৪২ জনের নামীয় এবং আরো ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান রুবেল, ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো. মমিন মেম্বার, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউনিয়ন যুব দলের সাবেক সভাপতি মো. মিজান, ওয়ার্ড যুব দলের সাধারণ সম্পাদক মো. শাজল ও বিএনপি কর্মী মো. মোস্তফা।
এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর শ্রীবর্দী থানায় বিএনপি সভাপতি রুবেলকে ১ নং হুকুমের আসামী এবং আরো ১২০ জনের নামে একটি নাশকতা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় ৯ জন।
ঝিনাইগাতি থানা পুলিশের এস আই ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার বনগাঁও তাসকেরাতুল বানাত মহিলা মাদরাসা মাঠে আসামীরা নাশকতার উদ্দেশে পেট্টোল বোমা ও ককটেল তৈরী করছিলো। এসময় গোপন সংবাদ পেয়ে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ উল্লেখিত ৬ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এঘটনায় ঝিনাইগাতী থানায় মামলা দায়ের করে ২৮ সেপ্টেম্বর বৃস্প্রতিবার বিকেলে গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ মামলার বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল জানায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এক তরফা করার লক্ষে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার আমার বিরুদ্ধে শেরপুর-৩ (শ্রীবর্দী-ঝিনাইগাতি) আসন থেকে প্রার্থী যেন না হতে পারি সেজন্য সরকার পুলিশকে দিয়ে এ গায়েবি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর এবং আজ ২৮ সেপ্টেম্বর আমি এলাকাতে না থাকলেও আসামী করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে এভাবে নিপিড়ন করে বিএনপিকে আন্দোলন থেকে পেছানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভুইয়া জানায়, বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ওই মাদরাসা মাঠে নাশকতার উদ্যেশে ১২টি পেট্টোল বোমা ও ১৪ ককটেলসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর অন্যান্য আসামিদের নাম দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply