মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
লক্ষীপুরের আলোচিত ও চাঞ্চ্যলকর একই সাথে চার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি এবং ডাকাত সর্দার ফজল হক (৫৫)’কে গোপন সংবাদে
দীর্ঘ ২০ বছর পর র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক গ্রেফতার।
২অক্টোবর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় অবস্থানকালে
অভিযানে আসামি ফজল হক (৫৫),কে আটক করে। আটককৃতের পিতা- মৃত মাহে আলম, সাং- চর আফজল, থানা- রামগতি, জেলা-লক্ষীপুর।
১৭ এপ্রিল-০৩,হাতিয়া থানাধীন চর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ধৃত আসামীর বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত সংঘর্ষে ধারালো দেশীয় অস্ত্রের এলোপাথাড়ি আক্রমণে ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যূ হয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে একইদিন নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় ৮ জনের নামে একটি হত্যা মামলা রজু হয়। মামলার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে উক্ত হত্যাকন্ডে আসামিরা গ্রেফতার হলেও পলাতক থেকে যায় ঘটনার অন্যতম প্রধান আসামি ফজল হক। এ মামলায় দাখিলকৃত চার্জশিট এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৫০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে,সে সপরিবারে নিজ এলাকা থেকে আত্মগোপণে দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায় নিজ পরিচয় গোপণ করে রাজমিস্ত্রি,দারোয়ানসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত করে রাখে। এছাড়াও তার বাড়ি লক্ষীপুর হলেও নোয়াখালীর বাসিন্দা হিসাবে পরিচয় দিতো। ৪/৫ মাস যাবৎ পরিচয় গোপন করে বায়েজিদ এলাকার একটি বসতবাড়ির সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকুরি করে আসছিল।
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে বর্ণিত একই সাথে চার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত অর্থদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী। আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply