মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
আদালতে মোটরসাইকেল চুরি মামলায় হাজিরা দিতে এসে পুনরায় মোটরসাইকেল চুরিরতে গ্রেফতার ০৩ জন,১৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার।
৫ অক্টোবর,দুপুর দেড়টায় মহেশখালী থানা এলাকায় অভিযানে ৩নং আসামী সজিবুল ইসলাম (২১) কে আটক করে। ৪অক্টোবর,চোর চক্রের মূলহোতা মোঃ রিপন কে একটি চোরাই Apache RTR মোটরসাইকেল সহ আটক করে।
চট্টগ্রাম শহর ও তার আশপাশ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল চুরি চক্রের মূল হোতা সহ তার অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ),সিএমপি,চট্টগ্রাম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায় অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ),নোবেল চাকমা, পিপিএম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন),অতনু চক্রবর্তী ও আমার সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ নূরুল বাশার এর নেতৃত্বে এসআই/মিজানুর রহমান চৌধুরী, সঙ্গীয় অফিসার এসআই/মোঃ মেহেদী হাসান, এসআই/মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, এসআই/শ্রী নয়ন বড়ুয়া, এএসআই/সাইফুল আলম, এএসআই/রণেশ বড়ুয়া, এএসআই/রুহুল আমিন, কং/৬২৫৪ মোঃ শাহজাহান, কং/২৮৪০ সঞ্জীব চাকমা গণ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযানে কোতোয়ালী থানাধীন মেরিনার্স রোডস্থ এস আলম বাস ডিপু এর বিপরীত পাশে পাকা রাস্তার উপর হইতে চোর চক্রের মূলহোতা রিপন কে আটক করে।
পরবর্তীতে আসামী মোঃ রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে চোরাইকৃত মোটরসাইকেলগুলো কুমিল্লা জেলার আব্দুল কাদের জিলানী প্রঃ অভি ও কক্সবাজার জেলার সজিবুল ইসলাম দ্বয়ের নিকট বিক্রয় করে। আসামী মোঃ রিপন এর স্বীকারোক্তি মোতাবেক কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানা ও নাঙ্গলকোর্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২নং আসামী আব্দুল কাদের জিলানী প্রঃ অভি (২৬) কে আটক করা হয় এবং তার হেফাজত হতে ০৮টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে। পরবর্তীতে আসামী মোঃ রিপনের প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক আসামী সজিবুল ইসলাম (২১) কে আটক করে। এবং তার হেফাজত হতে ০৪টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে। উক্ত ঘটনায় এসআই/মিজানুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে কোতোয়ালী থানার মামলা নং-১২।
সিডিএমএস পর্যালোচনায় জানা যায় যে, ধৃত ১নং আসামী মোঃ রিপনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী, বাকলিয়া, পাঁচলাইশ, পটিয়া, ফেনী জেলার ফেনী সদর থানা ও কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোর্ট থানায় সর্বমোট ০৮টি মোটরসাইকেল চুরির মামলা আছে। ধৃত ২নং আসামী আব্দুল কাদের জিলানী প্রঃ অভির বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম ও ফেনী জেলার সোনাগাজী থানায় সর্বমোট ০৫টি মোটরসাইকেল চুরি সহ মারামারির মামলা আছে।
অপরাধ প্রক্রিয়াঃ আসামী রিপন এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরি মামলা বিচারাধীন আছে। সে উক্ত মামলার হাজিরা সংক্রান্তে এবং বিজ্ঞ কৌশুলীর সহিত সাক্ষাতকারের নিমিত্তে প্রায় সময়ই চট্টগ্রাম মহানগরের কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় আসে। হাজিরা শেষে কিংবা বিজ্ঞ কৌশুলীর সহিত সাক্ষাৎকার শেষে সে তাহার বাড়িতে যাওয়ারকালে কোর্ট বিল্ডিং এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকা হইতে লক করা মোটরসাইকেল বিশেষ কায়দায় তৈরী মাষ্টার কবু ব্যবহার করিয়া দ্রুততম সময়ে লক খুলিয়া চুরি করিয়া নিয়া যায়। সে চোরাই মোটরসাইকেল গুলো বিভিন্ন সময়ে কুমিল্লা জেলার আব্দুল কাদের জিলানী প্রঃ অভি ও কক্সবাজার জেলার সজিবুল ইসলামের নিকট বিক্রয় করে এবং সেখান হইতে আসার কালে ০১টি মোটরসাইকেল চুরি করিয়া সেটি আবার কক্সবাজার জেলার সজিবুল ইসলামের নিকট বিক্রয় করে। আবার আসামী সজিবুল ইসলামের নিকট চোরাইকৃত মোটরসাইকেল বিক্রয় করিয়া সেখান হইতে আসার কালে ০১টি মোটরসাইকেল চুরি করিয়া নিয়া আসে এবং সেটি আবার কুমিল্লা জেলার আব্দুল কাদের জিলানী প্রঃ অভি এর নিকট বিক্রয় করে।
উদ্ধারকৃত আলামতের বর্ণনাঃ ১৩টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ও ঠিকানা-
১। মোঃ রিপন (৩২), পিতা-আব্দুল আলীম, মাতা-পারভীন আক্তার, সাং-কোলাগাঁও, সিরাজশাহ মাজার বাড়ী, ০৩নং ওয়ার্ড, ০৪নং কোলাগাঁও ইউপি, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম বর্তমানে-বাস্তুহারা, চুনার গলি, এনামের কলোনী, থানা-বাকলিয়া,জেলা-চট্টগ্রাম ২। আব্দুল কাদের জিলানী প্রঃ অভি (২৬), পিতা-মৃত মনু মিয়া, মাতা-পারুল বেগম, সাং-চিওড়া, ডিমাতলী, বিটা ওয়ার্ল্ড এর সামনে, মনু মেকারের বাড়ি, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা বর্তমানে-চান্দিশ কড়া, সোনালী ব্যাংক এর পিছনে শাহেনশাহ এর ভাড়াটিয়া, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা অন্যান্য ঠিকানা-গাংরা, বিজয়গড়া, খায়রুল আমিনের ভাড়াটিয়া, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা ৩। সজিবুল ইসলাম (২১), পিতা-মোঃ মোস্তাক, মাতা-হাজেরা বেগম, সাং-মাতারবাড়ী, মনহাজীর পাড়া, আনছারের বাপের বাড়ী, ০৪নং ওয়ার্ড, ০১নং মাতারবাড়ী ইউপি, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার