পিরোজপুর প্রতিনিধি :
সাংগঠনিক রীতি বহির্ভূত ভাবে দল পরিচালনা করার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক বৈষম্যের কারণে এবং কাউখালী হাটের খাজনা সংসদ সদস্য কর্তৃক মওকুফের ঘোষনা দিয়েও পরিশোধ না করায় প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে জাতীয় পার্টি (জেপি-মঞ্জু) থেকে পদত্যাগ করেছেন পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনু। আজ শনিবার বিকেলে কাউখালী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে তিনি জেপি থেকে পদত্যাগ করেন। আবু সাঈদ মিয়া মনু জেপি-মঞ্জু কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে আবু সাঈদ মিয়া মনুু বলেন, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (এমপি) এর নেতৃত্বে জেপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে মঞ্জু দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকলেও, তার নির্বাচনী এলাকা কাউখালীর তেমন কোন উন্নয়ন করেননি। বরং তিনি তার নিজ উপজেলা ভান্ডারিয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এর ফলে কাউখালীর সাধারণ মানুষ সরকারের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়া তিনি কাউখালী উপজেলার বাজারের খাজনা পরিশোধের অঙ্গীকার করলেও, বর্তমানে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এতে করে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ মারাত্মক বিপাকে পড়েছে। তাই তিনি তার সমর্থক ও জেপি’র বিভিন্ন পর্যায়র দায়িত্বশীলদের নিয়ে সংগঠনটির উপজেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এ সময় তার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে পদত্যাগ করেন জাতীয় পার্টির (জেপি) কাউখালী উপজেলা শাখার সহ সভাপতি সিকদার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সহ সভাপতি শাহ আলম নসু, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক শেখ লিটন, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক নেপাল চন্দ্র দে, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: খসরু মিয়া সহ বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ।
মোঃ আবু সাঈদ মিয়া মনু সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তার সাথে কাউখালী উপজেলা থেকে প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মী জেপি থেকে পদত্যাগ করেছে।
উল্লেখ্য, আবু সাইদ মনু এর আগে বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টি (জে.পি.) তে যোগদান করে সাইকেল মার্কা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং দলের উপজেলার সভাপতির পদ লাভ করেন।
পিরোজপুর প্রতিনিধি