আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এবার ইসরায়েলে ঢুকতে শুরু করেছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সদস্যরা। এ সময় লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সদস্যদের সঙ্গে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। হিজবুল্লাহ’র অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ইসরায়েল।
দক্ষিণ লেবানন থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি জেইনা খোদর বলেন, লেবানন সীমান্ত থেকে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে। আমরা জানতে পেরেছি, দক্ষিণ লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলে গোলা ছোড়া হয়েছে। ইসরায়েলও পাল্টা জবাব দিচ্ছে।
খোদর আরও বলেছেন, পরিস্থিতি ক্রমেই আরও বেশি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছে। হামাস ও হিজবুল্লাহর যৌথ আক্রমণ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েল যদি গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখে, তাহলে অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীও ইসরায়েলকে আরও বিপদে ফেলতে পারে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন লেবানন থেকে কয়েকজন সন্দেহভাজন ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ওই এলাকায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে ইসরায়েলে ঢুকে পড়া কয়েকজন সন্দেহভাজন বন্দুকধারীদের হত্যা করা হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হামাসের হামলায় ইসরায়েলি নিহতের সংখ্যা ৮০০ ছুঁয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত ২,৫০৬ জন আহতকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ও ৩৫৩ জন আঘাত বা জখম গুরুতর।
অন্যদিকে, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬০ তে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া ইসরায়েলিদের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ২৯০০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।