বেরোবি প্রতিনিধি:
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সংহতি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ‘অপারেশন তুফান আল আকসা’ এর প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় জিরো পয়েন্ট থেকে আয়োজিত এক সমাবেশে এ সংহতি সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ শেষে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পার্কের মোড়, মর্ডান হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। পথি মধ্যে যুক্ত হয় আরো অসংখ্য শিক্ষার্থী। সাধুবাদ জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন নারী শিক্ষার্থীরাও ।
এসময় শিক্ষার্থীরা 'নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার', ‘লাব্বাইক লাব্বাইক, লাব্বাইক ইয়া আকসা’, ‘ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ ইসরায়েল মুরতাবাদ, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’ ‘ইন্তিফাদা, ইন্তিফাদা’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তিপাক' বলে স্লোগান দিতে থাকেন অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলের সেনারা অবৈধভাবে ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণকে নির্যাতন করে যাচ্ছে। ‘শাহবাগীরা’ ইসরাইলে রকেট হামলা নিয়ে সমালোচনা করে, কিন্তু ইসরাইল যখন হামলা করে তখন তারা আওয়াজ তোলে না। নোয়াম চমস্কির ভাষায় বলতে চাই, আমাদের ওপর করা অত্যাচার থেকে মুক্তির জন্য প্রতিরোধ হিসেবে রকেট হামলা করেছি। আমাদের দেশে চক্রান্ত হচ্ছে যে ইসরায়েলের সাথে আমরা নরমালাইজেশনে যাব। এর প্রক্রিয়া হিসেবে আমাদের পাসপোর্ট থেকে এক্সসেপ্ট ইসরায়েল শব্দটি তুলে দেওয়া হয়েছে। সংহতি সমাবেশ থেকে আমাদের একটা দাবি থাকবে আমাদের পাসপোর্টে আবারও সেই লেখাটি পুনর্বহাল করা হোক।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী গোলাম রব্বানী বলেন, আজকে ফিলিস্তিন যে প্রতিরোধের সময়টা পার করছে। তা আমাদের বাংলাদেশীদের জন্য অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক, যেহেতু আমরাও এই সময়টা পার করে এসেছি। এই ফিলিস্তিনের সাথে আমাদের বাংলাদেশ থেকে সবার আগে সংহতি প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু আমরা এখনো বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার সংহতি প্রকাশের খবর পাইনি। আজকের ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে নিজ ভূমি থেকে দখলদারদের উৎখাত করতে হয়।
মো সিদ্দিকুর রহমান
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর