মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং হতে অপহৃত কিশোরীকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার; মূল অপহরণকারীসহ ০৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম এবং র্যাব-১০, ঢাকা এর যৌথ আভিযানে।
১৭ অক্টোবর,দুপুর ২টায় ঢাকার মহানগরীর পল্টন থানাধীন গোলাপ শাহের মাজার এলাকায় অভিযানে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী আসামি ১। মোঃ লিমন শিকদার (৩০), পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম, ২। মোঃ রফিকুল ইসলাম শিকদার (৫৪), পিতা-মৃত কালাই শিকদার, ৩। রিমা বেগম (৪৮), স্বামী-মোঃ রফিকুল ইসলাম, ৪। সিনথিয়া বেগম (২৮), স্বামী-মোকাদ্দেছ হোসেন, এবং ৫। মোকাদ্দেছ হোসেন (৩৪), পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম, সর্ব সাং-বেজগাঁও, থানা-লৌহজং, জেলা-মুন্সিগঞ্জদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
অপহৃত ভিকটিম (১৮)লৌহজং থানাধীন একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। কলেজে আসা-যাওয়া পথে প্রতিবেশী মোঃ লিমন শিকদার ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। ভিকটিম বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে ভিকটিমের মা-বাবা লিমনের পরিবারকে বিষয়টি অবগত করে উত্যক্ত না করতে অনুরোধ করেন। এতে লিমন এবং তার পরিবারের লোকজন ভিকটিমের মা-বাবার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মেয়েকে যে কোন সময় তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে গত ৯অক্টোবর-২৩ ভিকটিম প্রতিদিনের ন্যায় কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা লিমন ও তার সহযোগীরা ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গাড়ীতে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ভিকটিম কলেজ থেকে যথাসময়ে বাড়ী না ফেরায় ভিকটিমকে খোঁজাখুজি একপর্যায়ে বেজগাঁও এলাকার লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, তাদের মেয়েকে লিমন শিকদার এবং তার সহযোগীরা অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে।
ভিকটিমের মা বাদী হয়ে গত ১১ অক্টোবর মোঃ লিমন শিকদার’কে প্রধান ও ৪ জনকে আসামি করে মুন্সীগঞ্জ লৌহজং থানায় একটি অপহরণ মামলা নং-০৫, ১১অক্টোবর-২৩, দায়ের করে।
অপহরণকারীরা ভিকটিমকে নিয়ে চট্টগ্রামে অবস্থানকালে ভিকটিমের পরিবার তাদের মেয়েকে উদ্ধারের র্যাব-৭,এ লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারীর এক পর্যায়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার কামরাঙ্গিরচর এর উদ্দেশ্যে গমনকালে তথ্যে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম এবং র্যাব-১০, ঢাকা এর যৌথ আভিযানে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী আসামিদের আটক করে।
আটককৃত আসামিগণ বর্ণিত নাম ঠিকানা প্রকাশ করতঃ অপহরণ মামলার এজাহার নামীয় আসামি মর্মে স্বীকার করে।আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের লৌহজং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে
Leave a Reply