মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
চাঁদপুর জেলা কচুয়া থানাধীন পারিবারিক কলহের জেরে আপন চাচাকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী মা ও ছেলেকে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম।
১৯ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৫টায় অভিযানে আসামি ১। মোঃ শরিফ হোসেন (২০), পিতা-নবীর হোসেন এবং ২। মোছাঃ ফাতেমা বেগম (৩৮), স্বামী-নবীর হোসেন, উভয়ের সাং-সহদেবপুর, থানা-কচুয়া, জেলা-চাঁদপুরদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
নিহত ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেন কচুয়া থানাধীন
সহদেবপুর এলাকার বাসিন্দা। নিহত ভিকটিম স্থানীয় সাচার বাজারে একটি দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করে সংসার পরিচালনা করে আসছিল। ভিকটিমের আপন ভাতিজা শরীফের এর কোন কাজকর্ম না থাকায় কাজের ব্যবস্থা করে দেয়। নিয়মিত কাজে না গেলে দোকান মালিক ভিকটিম ফারুকের নিকট তার ভাতিজার কাজে অনুপস্থিত থাকার কারণ জানতে চায়। গত ০২ সেপ্টেম্বর-২২ইং ভিকটিম ফারুক ভাতিজা শরিফকে কাজে যাওয়ার জন্য বললে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ফাতেমার উস্কানিতে ছেলে শরীফ ক্ষিপ্ত হয়ে চাচাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরতর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। ভিকটিমকে মুমূর্ষ অবস্থায় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবনতিতে ঢাকার হৃদরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম ফারুক গত ৩ সেপ্টেম্বর-২২ইং মৃত্যু হয়।
নিহত ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে কচুয়া থানায় ০২ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৫। মামলার পর থেকে প্রধান আসামি শরীফ ও তার মা ফাতেমা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।
গোপন সংবাদে মামলার পলাতকদের গ্রেফতার গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত নজরধারীর এক পর্যায়ে পলাতক প্রধান আসামি শরিফ ও তার মা ফাতেমা বেগম আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মবেশে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থানকালে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যা মামলার পলাতক ও গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ১ বছর যাবৎ চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে আসছিল।আটক আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মিডিয়া অফিসার অফিসার নুরুল আফসার।