নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়ন এর পাইকমারী গ্রামে কালাম বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন যাবত বাহিনী প্রধান কালাম মোল্যা সাধারণ গ্রামবাসীকে দলীয়ভাবে বিভক্তি করে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অত্যাচার করে আসছেন। তার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতেও ভয় পায় ভুক্তভোগীরা। কালাম মোল্যা ওই গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন মোল্যার ছেলে।
ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায় দীর্ঘ দিন যাবত কালাম মোল্লা ওই গ্রামের পূর্ব পাড়া নিয়ন্ত্রণ করে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী চুরি ও মাদক কারবার করে আসছে, ইতিপূর্বে চুরি ও মাদক মামলায় ওই বাহিনীর আইউবের ছেল আলামিন, হালিমের ছেল ফিরোজ ও আলমগীর, বাচ্চু মোল্লার ছেলে আনোয়ার ও দেলয়ার, সাইফুল কাজির ছেলে মইন সহ অনেকেই আটক হয়।
চলতি মাসের ১৩ তারিখে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং অনেককে আহত করে। এঘটনায় মোসা: নাসরিন নাহার বাদি হয়ে মোকাম বিজ্ঞ নড়াইল আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১৭১/২৩। মামলা চলমান রয়েছে।
এ ঘটনা আমিন টেলিভিশনে প্রচারিত হলে আমিন টেলিভিশন এর নির্বাহি সম্পাদক একই ইউনিয়ন এর নিধিখোলা গ্রামের মো: খায়রুজ্জামানের ছেলে সৌদি প্রবাসী মো: আমিনুর রহমানকে ফেসবুক ম্যাসেন্জার কলে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি দেয় ওই বাহিনীর মনির মোল্লার ছেলে সন্ত্রাসী সজল ও কামরুল মোল্লার ছেলে ইসহাক।
এ ঘটনায় মো: আমিনুর রহমান এর পিতা মো: খায়রুজ্জামান নড়াইল সদর থানায় সাধারণ ডাইরি করেছেন। ডাইরি নং ৬৭৬।
এ ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া গত কিছু দিন আগে কালাম বাহিনীর হামলার স্বীকার হয় একই গ্রামের সেকন সরদার, তার পূর্বে ওই বাহিনী পার্শ্ববর্তী মহিষখোলা গ্রামে হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং গুরুতর আহত হয় সেলিম মোল্লা ও তার ছেলেরা সহ আরো অনেকে।
এঘটনায় সেলিম মোল্লার স্ত্রী বাদি হয়ে নড়াইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা চলমান রয়েছে।
ইতিপূর্বে কালাম বাহিনীর অত্যাচারের স্বীকার হয়েছে পার্শ্ববর্তী ফেদি সহ কয়েক গ্রামের নিরীহ মানুষ।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কালাম মোল্লার ব্যবহারিত নাম্বার এ একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে এলাকায় শান্তি রক্ষার্থে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা সহ কালাম বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।