রাসেল ইসলাম, লালমনিরহাটঃ
সারাদেশে বিএনপির ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতালে লালমনিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় আ'লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জাহাঙ্গীর আলম (ন্যাংড়া জাহাঙ্গীর) নামের এক শ্রমিক লীগ নেতা নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে আ'লীগের আরো ৪জন নেতাকর্মী। এ সময় পুলিশ ও সাংবাদিকের গাড়িসহ ৫টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হরতালের সমর্থনে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মীরা পিকেটিং করার জন্য মাঠে নামলে আ.লীগের নেতাকর্মীরা তাতে বাঁধা দেয়। পরে দুই দলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বিএনপির পিকেটারদের হামলায় শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম (ন্যাংড়া জাহাঙ্গীর) ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাজু আহমেদ গুরুতর আহত হয়। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের (ন্যাংড়া জাহাঙ্গীর) মৃত্যু হয়।
এছাড়াও জেলা শহরে বিএনপি কর্মীরা পিকেটিং করার চেষ্টা করলে আ.লীগের সরভ ভূমিকায় তা পন্ড হয়ে যায়। যদিও বিএনপির কিছু নেতাকর্মী চোরাগুপ্ত হামলা চালিয়ে সাংবাদিকের গাড়িসহ ৩/৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
জেলা শহরে বিএনপির কিছু নেতা কর্মীকে মাঠে দেখা গেলেও আ.লীগ মাঠে নামায় ছাত্রভঙ্গ হয় তারা। সকালে শহরের মিশনমোড়ে বিক্ষোভ ও পিকেটিং করার সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে হরতাল সমর্থন কারীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লোকাল বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় হরতালের মধ্য দিয়েও অনেকটা ভোগান্তি নিয়ে পায়ে হেঁটে এবং অটোরিকশায় করে চলাচল করছে সাধারণ যাত্রীরা।
এদিকে সকাল সাড়ে দশটার দিকে শহরের সাপ্টিবাড়ি বাজার সড়কে অবস্থান নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে মিছিল করতে থাকে। এসময় আওয়ামী লীগের হরতাল বিরোধী মিছিল এর মুখোমুখি হলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে আদিতমারী উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে মিছিল নিয়ে যায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এতে সংঘর্ষ শুরু হলে উভয়পক্ষের দুজন আহত হয়। এ সময় বিএনপির অফিসের চেয়ার ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা।