স্টাফ রিপোর্টার
আইসিটি প্রতিবন্ধী, জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে আমি যতবারই আসি প্রতিবারই নতুন কিছু দেখি।
বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সাথে সম্পৃক্ত সকলের আন্তরিকতার কারনেই মাত্র ০৮ বছরে বিদ্যালয়টি আজ একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এক সময়ে আমাদের সমাজে প্রতিবন্ধী সন্তানদের বোঝা মনে করা হতো, প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম নিলে মায়েদেরকে কটু কথা বলা হতো, পরিবার ও সমাজে তাদের কোন অবস্থান ও অধিকার ছিলনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ সমাজে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অবস্থান সুনিশ্চিত করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বিশ্বব্যাপী প্রতিবন্ধী সন্তানদের অধিকার নিয়ে কাজ করছেন, যার পরামর্শে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করেছেন।
এখন আর সমাজ বা পরিবারে প্রতিবন্ধী সন্তানদের বোঝা মনেকরা হয়না, তাদের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনি একজন নেতা যিনি প্রতিমূহুর্তে সমাজের প্রতিটা শ্রেণীর মানুষের অধিকার নিয়ে ভাবেন ও কাজ করেন।
দীর্ঘদিনের অবহেলিত আমাদের এই সিংড়া জনপদের অধিকার ও দাবি নিয়ে আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থন দিয়ে ২০০৮ সালে আপনারা আমাকে জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছিলেন। মাত্র ১৫ বছরের ব্যবধানে প্রাণের সিংড়া আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন জনপদ আজ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সিংড়ার প্রতিটা গ্রাম আজ পাকা সড়কে সংযুক্ত, আমাদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আমি আপনাদের এই দোয়া ও ভালোবাসাটাই চাই। আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে আগামী নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে আপনাদের সাথে নিয়ে সিংড়াকে নান্দনিক মানবিক স্মার্ট সিংড়া হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।