দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামীলীগ মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী সদ্য বিদায়ী পটিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম নগরীতে আজ পটিয়ার ১৭ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণের সাথে আগামী নির্বাচনে প্রয়োজনীয় সহযোগীতাও পরামর্শ মুলক এক সভায় মিলিত হন।এসময় আলহাজ্ব মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণের কাজে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে উনাকে বিজয়ী করার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি দঃভূর্ষি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম,চেয়ারম্যান সমিতির সেক্রেটারি কাশিয়াইশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কাশেম,জিরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টিপু, হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফৌজুল কবির কুমার, কচুয়াই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিম, কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুল হক চৌধুরী, জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সবুজ,আশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, ধলঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রণবির ঘোষ টুটুল, বড়লিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীদুল ইসলাম শানু, কেলিশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোজ কান্তি সেন নান্টু,কুসুমপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকরিয়া ডালিম, খরনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবু রহমান, ভাটিখাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বখতিয়ার, শোভনদন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ এহাছানুল হক, হাইদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বি এম জসিম সহ মোট পটিয়ার ১৭ টি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বৃন্দ।
দীর্ঘ পনের বছর পর চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া নির্বাচনী আসনে নৌকার প্রার্থী পরিবর্তন হয়ে এবার প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার মনোনয়ন লাভ করার পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ উনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ যে চট্টগ্রাম-১২ পটিয়াতে ২০০৮,২০১৪, ২০১৮ টানা তিনবার আওয়ামীলীগ মনোনয়ন পেয়েছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য সংসদের হুইপ আলহাজ্ব শামশুল হক চৌধুরী।তিনি প্রথম দশবছর এমপি থাকলেও তৃতীয় বার এমপি হওয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উনাকে প্রতিমন্ত্রী সমমর্যাদার জাতীয় সংসদের হুইপ করেন।কিন্তু দলের ভিতরে বাহিরে উনার নানা দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ নিয়ে বিভিন্ন দল থেকে আসা নেতাকর্মী ও নিজের ঘনিষ্ঠ লোকজন দিয়ে দলে নিজের বলয় সৃষ্টিকরে পটিয়াতে পনের বছর ইচ্ছামত শাসন শোষন করা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকাশ্য অবমাননা করাসহ নানা অভিযোগ উঠার কারনে এবার তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হন।উনার বিরুদ্ধে এতোদিন ভয়ে পটিয়াতে কেউ মুখ খুলতে না পাড়লেও এখন মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা প্রকাশ্য দীর্ঘ পনের বছরের ফিরিস্তি খাওয়া শুরু করেছেন।দলের কয়েকজন প্রবীণ নেতা বলেন গত পনের বছর পটিয়াতে প্রাথমিক মাধ্যমিক কলেজ কমিটি মসজিদ মন্দির বিহার কমিটি কোন সামাজিক সাংস্কৃতিক ক্রীড়া সংগঠনের কমিটি এমনি কেউ প্রাইমারী স্কুলের মেম্বার হতে হলেও উনার অনুমিত এবং উনার বলয়ের লোক ছাড়া হতে পারেনি।সেটা যতোবড় আওয়ামীলীগের ত্যাগী ও প্রবীণ নেতা হলেও তাদের বাদ দিয়ে নিজের সুবিধামতো লোকজন দিয়ে সবকিছু করেছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আক্ষেপ করেন বলেন- মহান আল্লাহ দীর্ঘ পনের বছর পর একনায়কতন্ত্র ও পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্ত করেছেন।