আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধে গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ১৯ হাজার ৬৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে গাজায় ৫২ হাজার ৫৮৬ জন আহত হয়েছে। ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে আরও হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্য দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সম্প্রতি দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া উত্তরে একটি শরণার্থী শিবিরে এবং এই অঞ্চলের একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় ২০ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বিমান হামলা এবং ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পাওয়ায় ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্ররাসহ আন্তর্জাতিকমহলও ক্ষুব্ধ।
জাতিসংঘ বলেছে, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এতে যোদ্ধাও রয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ববর্তী সংঘর্ষের সময় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্যণালয়ের দেওয়া হতাহতের পরিসংখ্যান নির্ভরযোগ্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
জাতিসংঘের অনুমান, গাজার ২৪ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১৯ লাখ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ফিলিস্তিনির বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের জন্য হামাস দায়ী। হামাস ফিলিস্তিনিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। তারা স্কুল এবং হাসপাতালের ভবনগুলোতে সামরিক সুবিধা নেয় এবং যোদ্ধাদের রাখে। তবে ইসরায়েলের এসব দাবি অস্বীকার করেছে হামাস।
গত সোমবার আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের সঙ্গে কথা বলার সময় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী বেসামরিক নাগরিকের ক্ষতি কমানোর জন্য কাজ করেছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন। এরপর থেকে গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।