রাসেল ইসলাম, লালমনিরহাটঃ
লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র মিশন মোড়ে শিবরাম আদর্শ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষা ক্ষেত্রে আদর্শ বিদ্যালয়ের এক প্রতিচ্ছবি। অন্যান্য বিদ্যালয় থেকে ব্যতিক্রমী এ বিদ্যালয় লালমনিরহাটে পদার্পণ করে ২০১৫ সালে। ক্যাডেট কলেজের আদলে পরিচালনা হচ্ছে বিদ্যালয়টি। প্রাথমিক পর্যায় থেকে শিশুদের ক্যাডেট কলেজে ভর্তির উপযোগী করে গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছেন বলে জানান বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এ বিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতি, নিয়ম-নীতি এবং সব কিছুতেই রয়েছে ব্যতিক্রমের ছোঁয়া। এর পিছনে আছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাশেদ। শুধু মাত্র লালমনিরহাট জেলার নয়, জেলার বাহিরে থেকেও এখানে পড়তে আসে অনেক শিক্ষার্থী। তাদের জন্য রয়েছে এখানে শিশু বান্ধব আবাসিক ব্যসবস্থা। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনের নিয়মিত পাঠদান শেষে বাসায় যায় ঠিকই, কিন্তু আবারও তারা পড়তে আসে বিকেল কিংবা সন্ধ্যা বেলায়৷ শিক্ষার্থীরা তাদের বাসায় নয়, আনন্দ আড্ডায় দিনভর পড়াশোনা করে এ স্কুলে।
এ বিদ্যালয়ে দূরের ছাত্রদের জন্য রয়েছে শিশুবান্ধব পরিবেশে আবাসিক ব্যবস্থা। মাতৃ ছায়ার পরশে থাকা খাওয়া সহ লেখাপড়ার গুরুভার দায়িত্ব নিয়ে থাকে এ বিদ্যালয়। বিগত বছর গুলোর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এ বিদ্যালয় থেকে গড়ে ৯৮ ভাগ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ সহ বৃত্তি প্রাপ্ত হয়ে সাফল্যের শীর্ষ স্থান দখল করেছে। এছাড়াও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় শিবরাম আদর্শ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের ছিনিয়ে এনেছে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় পুরষ্কার।
ইতোমধ্যে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রসহ জেলার অনেকেই পরিদর্শন করেছেন বিদ্যালয়টি৷ বিদ্যালয়টির পরিচালককে শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী আবদান রাখায় করেছেন বিশেষ সম্মানে ভূষিত।
তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ বিদ্যাপীঠটির সুনাম ছড়িয়ে পরেছে পুরো জেলাজুড়ে। এ বিদ্যালয়ের ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতের লেখার ধরণ একই রকম। সবার হাতের লেখায় আছে জাদুর ছোঁয়া। দিন দিন হাতের লেখাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে এ স্কুলের শিক্ষার্থীরা। প্রধান উপদেষ্টা মোড়ল হুমায়ুন কবির জানান, বিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মানের বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
বিদ্যাপীঠটির অধ্যক্ষ আঞ্জুমানারা লতা জানান, প্রতিটি শিশু জ্ঞান-শৃঙ্খলা, আচার- আচরণ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, ধর্মীয় এবং মানবীয় গুণাবলীতে বেড়ে উঠে শুধু দেশে নয়, বিশ্ব সভ্যতায় যাতে অবদান রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে এই বিদ্যালয়টি পরিচালনা হয়ে আসছে।
Leave a Reply