মোহাম্মদ মাসুদ স্টাফ রিপোর্টার
চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা থেকে এসআই কমল ও তার টিমের চৌকস প্রচেষ্টা ও চেলেঞ্জিং অভিযানে মাত্র দুই ঘন্টার ব্যাবধানে ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জোরপূর্বক মোবাইল ছিনতাই পরবর্তী জিম্মি করে ভিকটিমকে মারধরসহ ভিকটিমের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবীর অপরাধে অভিযুক্তদের আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগের বুধবারে দিনগত রাতে শেরশাহ মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলো,বাগেরহাটের সদর থানার নদইখালী গ্রামের হাবিব শেখ ওরফে শহিদুল শেখের ছেলে সুমন শেখ (২২), ভোলার সদর থানার শান্তিরহাট এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে আল আমিন (২৬) এবং চাঁদপুরের কচুয়া থানার নোয়াগাঁও গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে মো. সুমন (২১)। তারা বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ এলাকায় বিভিন্ন ভাড়াবাসায় বসবাস করেন।
থানাসূত্রে জানা যায়,সেলিম নামে একজন গাড়িচালক সহযোগী রাকিবকে নিয়ে পিকআপভ্যান চালিয়ে বাঁশখালী থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বায়েজিদ শেরশাহ এলাকায় বিরতি দেয়। এসময় হেলপার রাকিব শেরশাহ মিনারের পাশে গেলে তিন ছিনতাইকারী তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে আটকে রাখে। এসময় চালক সেলিমের মোবাইলে ফোন করে রাকিবকে ছাড়িয়ে নিতে টাকা দাবি করে।
শেরশাহ মিনার এলাকায় রাতের অন্ধকারে জোরপূর্বক মোবাইল ছিনতাই পরবর্তী জিম্মি করে ভিকটিমকে মারধরসহ ভিকটিমের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবীর অভিযোগে তাত্ক্ষণিকভাবে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশের অভিযান ৩জন অভিযুক্তকে গ্রেফতারসহ ভিকটিমের লুণ্ঠিত মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে । তাদের নামে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় পূর্বের একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ ( দ্রুত বিচার) আইনে মামলা রুজু করত: বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এসআই কমল ধর বলেন, মাত্র ২ঘন্টার চৌকস প্রচেষ্টা ও চেলেঞ্জিং অভিযানে মাত্র দুই ঘন্টার ব্যাবধানে ছিনতাইকারীকে আটক করতে সক্ষম হই।
এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন,বুধবার রাতে চালক সেলিম বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভিকটিম রাকিবকে উদ্ধারসহ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে। এসময় ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল দুটিও উদ্ধার করা হয়।