স্পোর্টস ডেস্ক :
নেপিয়ারে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে নয় উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টাইগারদের এটি প্রথম ওডিআই জয়।
সাকিব-তামিম-মাশরাফী-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর দল যে কাজ করতে পারেনি সেটা করে দেখালো শান্তর দল। সিরিজ হারলেও, এই জয় যেন তার চেয়ে বেশি কিছু।
পুরো ম্যাচে আধিপত্য বাংলাদেশের। টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে টাইগার বোলারদের দাপট। শুরু থেকেই এলোমেলো ওদের ব্যাটিং। শুরুর সাফল্য পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে চার ওভার পর্যন্ত। শরিফুল সেই ধাক্কা বাড়িয়ে দেন।
৩৮ রানের জুটি গড়েন লেইথাম ও ইয়াং। ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই শরিফুলের দারুণ কাম ব্যাক। ফেরান লেইথামকে। পরের ওভারে ইয়াংকেও সাজ ঘরে ফেরান শরিফুল।
কিউইদের পার্টনাশীপ গড়ার চেষ্টাকে সফল হতে দেননি তানজিম ও শরিফুল। দুর্দান্ত লাইন লেন্থ-এ বান্ডল, চ্যাম্পম্যানকে ফেরান। ততে ৬০ রানে নেই ৬ উইকেট।
সৌম্যকে কেনো বোলার হিসেবে ধরা হয় সেটা বুঝিয়েছেন। ক্লার্কসনকে দারুণ সুইংয়ে ফিরিয়েছেন। খানিকবাদে বোল্ড করেছেন মিলনেকে। তাতে ৮৬ রানে নিইজিল্যান্ডের নেই ৮ উইকেট। বাকি কাজটা করেন সৌম্য ও মুস্তাফিজ। ৯৮ রানে অল আউট নিউজিল্যান্ড। শরিফুল, সৌম্য, তানজিম নিয়েছেন তিনটা করে উইকেট।
উইকেট পেস স্বর্গ, বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুতে কিউই বোলারদের সুইং ভয় ধরিয়েছে। সৌম্য রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরেছে।
বিজয়, ম্যানেজমেন্টের ভরসার প্রতিদান দিয়েছেন। শান্ত ফর্মে ফিরেছেন দুর্দান্ত এগ্রেশনে নিউজিল্যান্ডের সব আশা শেষ করেছেন। এক ওভারের চারটা চারও হাঁকিয়েছেন।
৩৭ রানে বিজয় ফেরার আগে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন শান্ত ও লিটন দাস।
গেল বছর টেস্টে ঐতিহাসিক জয় এনে দিয়েছিলেন এবাদত-জয়রা। এবার তরুণ দলটা ওয়ানডতেও জয়ের দেখা পেলো। এই আত্মবিশ্বাস নিশ্চিতভাবেই কাজে লাগবে, বাংলাদেশকে সাদা বলেও আরও শক্তিশালী দলে পরিণত হতে।
Leave a Reply