নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিজিএফআইয়ের পরিচয়ে ডিজিএফআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদককে অফিস থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা, হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
ডিজিএফআইয়ের পরিচয়ে জনৈক সালাম ২৩/১২/২০২৩ তারিখ, শনিবার, আনুমানিক বিকাল ৪.৩০ ঘটিকায় অপরাধ বিচিত্রার কার্যালয়ে এসে সম্পাদক ও প্রকাশককে অফিসে এসে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায় এবং বলে যে যদি তাদের সাথে উক্ত নিউজের বিষয়ে আপোষ-মিমাংসা না করে তাহলে প্রয়োজনে মোবাইল ট্রেকিং করে সম্পাদককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে এবং পত্রিকা বন্ধ করে দেয়াসহ আরো অশ্লিল গালিগালাজ অপরাধ বিচিত্রার অফিসের সকল সাংবাদিক ও কর্মচারীদের সামনে উগ্র আচরণ করতে থাকে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়- যা অপরাধ বিচিত্রার সিসিটিভির ফুটেজে সংরক্ষিত রয়েছে। যাওয়ার সময়ে সে কারো উদ্দেশ্যে মোবাইলে টেলিফোন ফোন করে বলে, স্যর টিম পাঠান, ওরে ধরে নিয়ে যাই।
পরে অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক আসরের নামাজের জন্য মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা হতে চাইলে উক্ত সালাম সম্পাদকের গতিরোধ করে বলে নামাজ পড়া লাগবে না বলে বাধা দেয়। এই বিষয়ে সম্পাদক জানান, গত কিছুদিন যাবৎ উক্ত সালাম কখনো এনএসআইয়ের ইন্সপেক্টর, কখনো জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোবাইল কল করে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। সালাম আরো বলে যে, ডকুমেন্টস নিয়ে তার সাথে জাতীয় প্রেসক্লাবে দেখা করতে হবে এবং এ ব্যাপারে তার সাথে আপোষ মিমাংসা করতে হবে। এ ব্যপারে মতিঝিল থানায় শনিবার জিডি করা হয়, যার নং ১৪৮১ তারিখ ২৩/১২/২৩ ইং। জিডি সূত্রে জানা যায়, এই একই ব্যাক্তি আব্দুস সালাম গত ২১ ডিসেম্বর ২৩ ইং বৃহস্পতিবার বিকাল ৪.৪৫ সময় অফিসে এসে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে যায়।
সম্পাদক আরো বলেন, কোনো সংস্থার পরিচয়ে এসে কোনো ব্যাক্তি একটি পত্রিকা অফিসে এসে নিউজের বিষয়ে মা-বাবা তুলে গালিগালাজ করা, তুলে নিয়ে যাওয়া অফিসিয়াল কাজ কিনা সেটা জানতে চান। তিনি বলেন, সে যদি সত্যিই কোনো সংস্থার লোকও হয়ে থাকেন তবুও এইভাবে আচরণ করা সরকারি আইনের পরিপন্থী বলে মনে করেন তিনি। সম্পাদক আরো জানান, ডিজিএফআই বা অত্র প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তার বিষয়ে কোনো সংবাদ পরিবেশন করা হয় নাই। এরপরেও পূর্বের দিনের মতো আজও ২৩-১২-২০২৩ তারিখে আব্দুস সালাম নিজেকে ডিজিএফআই’র এসআই পরিচয় দিয়ে অফিসে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে শাসিয়ে যায়। অফিসের লোকজনকে উত্তেজিত ভাষায় বলতে থাকেন, সম্পাদক যদি আমার বসের সাথে দেখা না করে তাহলে তাকে তুলে নিয়ে যাব।
সালামের সাথে থাকা অন্য একজন ব্যাক্তি নিজেকে কনস্টেবল পরিচয় দিয়ে আরও বেপরোয়া ভাষায় কথা বলতে থাকে। উক্ত সালামের বিষয়ে তার অন্যায় আচরণের যদিও ২১-১২-২০২৩ তারিখে মতিঝিল থানায় জিডি করা হয়েছে। সম্পাদক এসএম মোরশেদ বলেন, কোনো নিউজের দ্বারা যদি কেও সংক্ষুব্দ হয় তাহলে প্রথমে সম্পাদক বরাবর প্রতিবাদ পাঠাতে হবে। সম্পাদক যদি মনে করেন প্রতিবাদ ছাপানো প্রয়োজন তাহলে তা ছাপাবেন। সংক্ষুব্দ ব্যক্তি যদি মনে করেন তিনি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ তার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে খবর প্রকাশ হয়েছে তাহলে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করবেন। কিন্তু কোনো খবর প্রকাশ করলে সংক্ষুব্দ ব্যক্তি তার প্রতিনিধি পাঠিয়ে অফিসে অনাধিকারভাবে প্রবেশ করে ভয় ভীতি ও হুমকি ধামকি দিয়ে গালমন্দ ও সিনক্রিয়েট করে তাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করা কোনো আইনেই নেই।
সম্পাদক আরো বলেন, দুদিনের পুরো ঘটনা আমাদের সিসি টিভিতে ধারণ করা আছে। অভিযুক্ত এসআই পরিচয়দানকারী সালামকে জিজ্ঞেস করা হলে ডিজিএফআইর সিনিয়র অতিরিক্ত পরিচালকের নির্দেশে তিনি এখানে এসেছেন বলে জানান। তখন তাকে বলা হয়, অফিসিয়াল প্রসিডিউর অনুযায়ী কোনো তথ্য জানতে হলে দাপ্তরিক চিঠি প্রেরণ করলে, সকল প্রকার তথ্য সরবরাহ আমরা করব। এভাবে যদি একজন এসআই পরিচয় দানকারী কোনো একটি জাতীয় পত্রিকা অফিসে এসে সম্পাদককে অপমান করে সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত তা জাতির কাছে প্রশ্ন?