চট্টগ্রাম-৩ সন্দ্বীপ আসনে পুলিশের ওপর হামলা ও হত্যার উদ্দেশে মারধরের অভিযোগে নৌকা সমর্থিত ২০ শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সন্দ্বীপ থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর জয়নুল বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার এই মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন— উরিরচর ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাহাত তালুকদার (৩৫), মুছাপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের আকরাম হোসেন, মগধরা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী রবিউল আলম সমীর, পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভিডিও সুমন, গাছুয়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের আদনান জাভেদ, সন্তোষপুরের রুবেল, গাছুয়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল, বাউরিয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদ, কালাপানিয়ার মিলাদ, মাইটভাঙা ২ নম্বর ওয়ার্ডের তসলিম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুখু মিয়ার ছেলে করিম, দীর্ঘাপার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রিজভী, মুসাপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম মেম্বারের ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহাগ সিকদার, পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাদাত, পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল ওরফে লোহা বাবুল, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবু তাহেরের ছেলে শাকিব, কালাপানিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী আরমান ওরফে মিঠু, সন্তোষপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী আলমগীর হোসেন রক্সি, মুছাপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল হালিমের ছেলে আনোয়ার প্রমুখ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে হাজারভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনের একটি দল সশস্ত্র অবস্থায় পুলিশের ওপর হামলা চালায়। নৌকা মার্কার স্লোগান দিয়ে আসামিরা লোহার রোড, লাঠি, কাঠের গুঁড়ি, ইটের টুকরোসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই দিন সন্তোষপুর ইউনিয়নের মুন্সিরহাট বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনের জনসভা ছিল। সভাশেষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বেশিরভাগ নেতাকর্মী চলে যায়।
২০-২৫ জনের একটি দল মুন্সিরহাট বাজারের দিকে যাওয়ার সময় আকস্মিক নৌকা মার্কার স্লোগান দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী।
এ সময় পুলিশ নৌকা মার্কার সমর্থকদের বাধা দিলে চারদিক থেকে নৌকা মার্কার সমর্থনে শত শত নেতাকর্মী এসে পুলিশের ওপর বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় আসামিরা মার, মার পুলিশকে মার বলে স্লোগান দিতে থাকে।
পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) চট্টগ্রাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীতাকুণ্ড সার্কেল, সন্দ্বীপ থানার ওসি, ডিবি পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ভিডিও সুমন ও আলমগীর হোসেন রক্সি। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অন্যান্য আসামির সম্পৃক্ততা জানা গেছে।
সন্দ্বীপ থানার ওসি কবির হোসেন যুগান্তরকে বলেন, এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
Leave a Reply