শাকিল আহমেদ, নড়াইল
নড়াইল -২ সংসদীয় আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী ফয়জুল আমির লিটু মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন, আর প্রার্থীতা ফিরে পেয়েই তিনি ছুটে এসেছেন তার নির্বাচনী এলাকায়, সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সব যায়গায় চলছে আলোচনা।
জানা গেছে, নড়াইল-২ আসনে তারকা প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজা লড়ছেন নৌকা প্রতিক নিয়ে আর তার মুল প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু তিনি লড়বেন ট্রাক প্রতিক নিয়ে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটুর প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার খবরে নড়াইল-২ আসনের ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। লক্ষ্মীপাশা খেয়াঘাট এলাকায় মিষ্টি বিতরণের খবর পাওয়া গেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটুর প্রাথীতা ফিরে পাওয়ার মধ্য দিয়ে নড়াইল-২ আসনে নির্বাচনী আমেজ ফিরে আসছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা।
সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। সদ্য অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ছিলেন স্বতন্ত্র হেভিওয়েট প্রার্থী। অল্প ভোটের ব্যাবধানে তিনি বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুবাস বোসের কাছে পরাজিত হন। লিটু দল মত নির্বিশেষে নড়াইলের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছায়ে অবৈধ ঘোষনা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিন সেখানে প্রর্থীতা ফিরে না পেয়ে উচ্চ আদালতের আপিল করেন তিনি। অবশেষে আপীল বিভাগ তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে রায় প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, নড়াইল-২ আসনে মাশরাফি বিন মর্তুজা(নৌকা), ওয়ার্কার্স পার্টি অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান(লাঙ্গল), জাতীয় পার্টি-এরশাদ অ্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ(লাঙ্গল), এনপিপির মনিরুল ইসলাম(আম), গণফ্রন্টের মোঃ লতিফুর রহমান(মাছ) ও ইসলামি ঐক্যজোট মোঃ মাহবুবুর রহমান(মিনার), স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন নূর ইসলাম (ঈগল), আলহাজ্ব সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটুসহ মোট ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু বলেন,আমাকে ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে থেকে দুরে রাখতে চেয়েছিলেন অদৃশ্য শক্তি। কিন্তু আল্লাহ সর্বশক্তিমান। আল্লাহ রহমতে নড়াইল ২ আসনের জনগণের দোয়ায় আমি আমার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। এটা নড়াইল দুই আসনের জনগণকে উৎসর্গ করলাম। মূলত আমি ইউনিয়ন ও উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম জনগণের ভোটে।
তাই আমার আস্থা বিশ্বাস ভরসা মহান আল্লাহ তাআলার উপর। উছিলা জনগণের সমর্থন। আমার প্রচার প্রচারণায় বাধা আগেও এসেছে এখনো আসতেছে। বাধা প্রতিকুলতা অতিক্রম করে জনগণের ভোটে আল্লার রহমতে আমি নির্বাচিত হব ইনশাআল্লাহ।