সাগর নোমানী, রাজশাহী ব্যুরো :
"জনে জনে জনতা গড়ে তুলো একতা, সাংবাদিক জনতা গড়ে তুলো একতা"এই স্লোগানকে সামনে রেখে, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করা ও রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে নতুন বছরের প্রথম দিনে আত্মপ্রকাশ ঘটে ‘রাজশাহী সাংবাদিক সংস্থা’ (আরজেএ) নামে একটি নতুন সংগঠনের। এদিন ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। উপস্থিত অর্ধশত সাংবাদিকদের সম্মতিক্রমে স্থানীয় দৈনিক রাজশাহীর আলো পত্রিকার সম্পাদক আজিবর রহমানকে আহবায়ক ও বণিক বার্তার রাজশাহী প্রতিনিধি ফয়সাল আহমেদকে সদস্য সচিব করা হয়।
অবশিষ্ট ১৩ সদস্য হিসেবে আছেন- স্থানীয় দৈনিক রাজশাহীর আলো পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক কাজী আসাদুর রহমান টিটু, নয়াকণ্ঠের রাজশাহী ব্যুরো মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, মানবকণ্ঠের রাজশাহী ব্যুরো আমিরুল হোসেন শান্ত, রাজশাহী নিউজ২৪.কম এর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রায়হানুল ইসলাম, বাংলাদেশ সমাচারের সিনিয়র রিপোর্টার খন্দকার মো. আখতারুজ্জামান সুমন, আমাদের নতুন সময়ের নিজস্ব প্রতিবেদক ইফতেখার আলম বিশাল, স্বদেশ বিচিত্রার রাজশাহী ব্যুরো খোসরুল আরুণ নোমানি সাগর, ভোরের ডাকের রাজশাহী প্রতিনিধি মো. তুজবুল হক, দৈনিক খবরের রাজশাহী প্রতিনিধি মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলার জনপদের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক জাহিদ হাসান, চ্যানেল ফোর টিভির রাজশাহী ব্যুরো সোমেন মন্ডল, এবিসি নিউজের রাজশাহী প্রতিনিধি মৌসুমী আক্তার ও বাংলার জনপদের স্টাফ রিপোর্টার আমানুল্লাহ আমান। এছাড়াও সে সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রায় ৪০ জন গণমাধ্যমকর্মী।
সোমবার (১ জানুয়ারি) রাত ৮ টায় রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল দোশড় মন্ডল মোড় এলাকার একটি রেস্তোরায় আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়।
এ সময় আহবায়ক কমিটির নেতারা জানান, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে আপোষহীন থাকবে ‘রাজশাহী সাংবাদিক সংস্থা’। গণমাধ্যমকর্মীদের যেকোনা বিপদে পাশে দাঁড়াবে এ সংগঠন। সুবিধাবঞ্চিত সাংবাদিকদের নায্য দাবি ও অধিকার আদায়ে ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সকলকে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ করা হবে। সাংবাদিকদের সন্তানদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি চালুকরণ, সাংবাদিক কল্যাণ ফান্ড গঠন ও চিকিৎসা সহায়তেও এই সংগঠনটি মূখ্য ভূমিকা রাখবে বলে দাবি করেন তারা।
এছাড়াও বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার লক্ষ্যে থাকবে বিশেষ উদ্যোগ। এ সময় সৌহার্দপূর্ণ আচরণের মধ্য দিয়ে একে অপরের পাশে থাকার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন সাংবাদিকরা। সভা শেষে সম্মিলিতভাবে ফটোশেসান করা হয়। পরে নৈশভোজের মাধ্যমে আনন্দঘন এক পরিবেশে শেষ হয় অনুষ্ঠানটি।