নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম নগরীর ভাসমান দোকানে প্রায় সব জায়গাতেই চাঁদা নেওয়া হয়। জড়িতরা সুকৌশলে থেকে যায় ধরাছোঁয়া নাগানের বাহিরে।বায়জিদ শেরশাহ বাংলাবাজার হতে ভাসমান দোকান থেকে চাঁদা দাবির দায়ে মোঃ মানিক (৪৫) নামে গ্রেফতার ১ জন। মাছ বাজার এলাকায় ফুটপাতের দোকানদার থেকে চাঁদা আদায় করার অভিযোগে মোঃ মানিক'কে চাঁদাবাজ হিসেবে আটক করেছে বায়েজিদ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) গ্রেফতারকৃত মোঃ মানিককে
চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এক ভাসমান দোকানদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আটকৃতের পরিচয় পিতা কুমিল্লা জেলার মৃত আবুল চৌদ্দগ্রাম থানাধীন দূর্গাপুর চৌকিদার বাড়ীর মৃত আবুল হাসেমের ছেলে।
অভিযুক্ত প্রতিদিন বাদীর দোকানে এসে তার দোকানস্থ ঘটনাস্থল এলাকার অন্যান্য ফুটপাতের দোকানদারদের কাছ থেকে ৪০/৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে নিয়ে যায়।
থানা সূত্রে জানা যায়,বাদী মোঃ নবীর হোসেন ভূঁইয়া বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বাংলাবাজার এলাকার ফুটপাতে ভ্যান গাড়ী করে মাছ বিক্রি করেন।
বাদী চাঁদা দিতে পারবে না বললে অভিযুক্ত ঐ ভাসমান দোকানদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতঃ মারধর করার চেষ্টা করে।
অভিযুক্ত মানিক গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শেরশাহ বাংলাবাজার মাছ বাজারের বিপরীত পাশে রাস্তার উপর বাদির ভ্যান গাড়ীর সামনে এসে বলে উক্ত জায়গায় ভ্যান গাড়ীতে ব্যবসা করলে তাকে অগ্রীম ৫ হাজার টাকা এবং প্রতিদিন ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা করে চাঁদা দিতে হবে।
বিষয়টি বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত মোঃ মানিককে আটক করে। এবং তার নিকট থেকে ঘটনাস্থল এলাকার অন্যান্য দোকানদানদের নিকট হতে আদায়কৃত চাঁদার নগদ ১ হাজার টাকা জব্দ করে।
বায়েজিদ থানা ওসি সনজয় কুমার সিনহা বলে,বাদীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলাটি এসআই মোঃ বাবুল মিয়া তদন্ত করছে। মামলাটি তদন্তাধীন। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত মোঃ মানিকের বিরদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গ:নগরীর ভাসমান দোকানে প্রায় সব জায়গাতেই চলে চাঁদাবাজি। দৈনিক বা কন্ডিশন মেয়াদে এসব চাঁদা নেওয়া হয়।চাঁদা নেওয়া হয় না এমন খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতায় নানা নেতিবাচক কারণে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে রাজি না হলেও। নিরবে চলে এসব চাঁদাবাজি। চাঁদার হার নির্ভর করে বাণিজ্যিক চাহিদা বেঁচা বিক্রির উপর। জড়িতরা সুকৌশলে থেকে যায় ধরাছোঁয়া নাগালের বাহিরে।
সরেজমিনে দেখা যায়,বায়জিদ মাজার গেইট সংলগ্ন রাস্তার দুই পাশে দৈনিক ১০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেওয়া হয়।এসব চাঁদা ভিন্ন খ্যাত ভিন্ন ইস্যুতে তুলা হয়।দীর্ঘদিন ধরে সুকৌশলে চলছে এসব চাঁদাবাজি।কথিত চাঁদাবাজরা হকার সমিতি কমিটির নামে রাজনৈতিক ছত্রছায়া অপক্ষমতার চক্রে চলছে। অস্বাভাবিক অন্যায় অনিয়ম যেনো স্বাভাবিক নিয়ম। চাঁদাবাজ মিশন দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে দাপটের সাথে ।
প্রশাসনের নাকের ডগায় কি করে তারা এসব দৈনিক চাঁদা তুলে।প্রশাসনের সক্রিতায় প্রশ্ন জনমনে।দীর্ঘদিন ধরে বছরজুড়ে দীর্ঘমেয়াদী এসব চাঁদা দেওয়া নেওয়া স্বাভাবিক নিয়ম। চাঁদার আয় উৎস হার বন্টন অংশ রয়েছে দৃশ্য-অদৃশ্যমান অপশক্তি রাজনৈতিক ছত্রছায়া নানা কারণ। অভিযোগ না থাকায় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। এসব অনিয়ম অভিযোগে যারা মূখ খোলে। যারা ভুক্তভোগী আপত্তি অভিযোগ তুলে তারা উল্টো হয় নানা হয়রানি ভোগান্তির শিকার। অভিযোগকারীরা হয় অভিযুক্ত নানা ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। নিরাপত্তাহীনতাই মুখ খুলতে রাজি নয় কেউ-ই।