সাঁথিয়া প্রতিনিধি :
পাবনার সাঁথিয়ায় যদু (২০) নামে কিশোর গ্যাং এর প্রধান ও হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী কর্তৃক কমিউনিটি হেল্থ ক্লিনিকের সেবাদানকারী ফজর আলীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত ফজর আলী পৌরসভাধীন কাজিপুর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে ও উপজেলার চরমাছখালি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবাদানে কর্মরত। সন্ত্রাসী যদু একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় সাঁথিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার এজহার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মারফত জানা গেছে, ফজর আলী শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নির্জন জায়গায় পূর্ব থেকে ওঁত পেতে থাকা কিশোর গ্যাং এর প্রধান ও সাজা প্রাপ্ত আসামী যদু ও তার সহযোগীদের নিয়ে ফজরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যপুরি কোপাতে থাকে।
এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ফজর আলীকে দ্রুত সাঁথিয়া হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশংকাজন অবস্থায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামীকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যদু কিশোর বয়স থেকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। যদুর বিরুদ্ধে সাঁথিয়া, বেড়াসহ বিভিন্ন থানায় ২টি হত্যা,ডাকাতি,চুরিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। কিশোর বয়সেও সে যশোরে জেল খেটেছেন। সেখান থেকে জামিনে বের হয়ে আবার সে চুরি ডাকাতি,হত্যাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
পুলিশের চোখে দাগী আসামী। সে হত্যা মামলায় সাজা প্রাপ্ত ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাঁকে আটক করতে পারেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন পুলিশ যদি তাকে গ্রেফতার করতো তাহলে সে এলাকায় এসে এ ধরণের নৃশংস ঘটনা ঘটাতে পারতো না।