সাঁথিয়া প্রতিনিধি:
অপহরণের দু’দিন পর চাচাতো ভাইয়ের ঘরে রাখা টাঙ্কের ভেতর থেকে সালমান নামের চার বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার আলোকচর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। আটক ফয়সাল অনলাইন জুয়ায় হেরে সালমানকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। তিনি পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
নিহত সালমান আতাইকুলা থানার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের আলোকচর গ্রামের শিক্ষক হাশেম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা, চাচি ও চাচাতো ভাইকে আটক করা হয়েছে।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন ওরফে শাহাদত (৪৮), তার স্ত্রী ফাহিমা খাতুন (৪০) ও ছেলে ফয়সাল হেসেন (২৩)।
হাশেম আলী বলেন, ‘সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে সালমান নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে এক ব্যক্তির মোবাইল ফোন থেকে আমার ভাই সাদ্দামের মোবাইলে টেলিগ্রাম অ্যাপসে এসএমএস (ক্ষুদেবার্তা) আসে। তখন ওই ব্যক্তি ১০ লাখ টাকা নিয়ে পাশের গ্রামের আতাইকুলা-সুজানগর সড়কের হিজলতলা নামক এলাকায় রেখে সালমানকে আনতে বলা দেওয়া। পরে এ বিষয়ে আতাইকুলা থানায় অভিযোগ করা হয়।’
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পরই শিশুটির সন্ধানে কাজ শুরু করে পুলিশ। কললিস্ট ধরে সন্দেহভাজন শিশুটির চাচাতো ভাই ফয়সালকে সোমবার দুপুরে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সালমানকে অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে ফয়সাল। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ট্রাঙ্ক থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ ও আটক ব্যক্তিদের পাবনা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply