নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সদর পৌরসভার ধোপা খোলা গ্রামে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনাল, ও (১৪৪/১৮৮) ধারায় মামলা চলমান অবস্থায় বাড়ি দখলে নেয়ার জন্য চিহ্নিত ভূমি দস্যু সেটেলমেন্ট অফিসের দালাল মোহাম্মদ উল্লাহ'র তাণ্ডব চলছেই।
রাতের আধারে ভেকূদিয়ে ভুক্তভোগী হাজ্বী আবদুল মান্নানের বাড়িঘর ভেঙে ফেলেছে সে।এই ঘটনায় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার খতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
রাতের আঁধারে বাড়িঘর ভাঙতে দেখে
হাজী আব্দুল মান্নানের স্ত্রী ফোন করে নড়াইল জেলা পুলিশের সহায়তা চাইলে জেলা পুলিশের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোহাম্মদ উল্লাহ সহ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় বলে জানান ভুক্তভোগী।
এ বিষয়ে আব্দুল মান্নানের স্ত্রী জানান, ৭ই নভেম্বর সহ আরো চারবার আমার বাড়ি ভেঙেছে মোহাম্মদ উল্লাহ, গত ১৭ ই জানুয়ারী রাত অনুমান ১১ টার দিকে মোহাম্মদ উল্লাহ ও তার পোষা সন্ত্রাসীরা ভেকূ দিয়ে আমার বাড়ি ভাঙতে আসে, আমি বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে জানাই,এরপর পুলিশ আসলে ভেকূ নিয়ে তারা পালিয়ে যায়,কিন্তু এরই মধ্যে তারা আমার বাড়িটি সম্পূর্ণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়, এতে আমার প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আমি আদালতের কাছে মোহাম্মদ উল্লাহর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আমার স্বামীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমরা বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি।আর এই সুযোগে মোহম্মদ উল্লাহ জালজালিয়াতি কাগজপত্র তৈরি করে আমার বাড়ি দখলের চেষ্টা করছে, গত ৭ ই নভেম্বর ৭-৮ জন লেবার দিয়ে আমার বাড়ির ছাদ, দেয়াল ভেঙে ফেলে সে, গাছপালা কেটে নিয়ে যায়।স্থানীয় লোকজন খবর দিলে আমি বাড়ি এসে দেখি আমার বাড়ি ঘরের বেহাল অবস্থা। আমি আদালতের শরণাপন্ন হয়ে গত ১২ ই ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে নড়াইল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১৪৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং এমপি ৫১৫/২০২৩,
পরবর্তীতে রাতের আধারে আবার বাড়ি ভাংচুর ও গাছপালা কেটে নেয় মোহাম্মদ উল্লাহ, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে প্রতিকার চেয়ে ১৮৮ ধারায় আরও একটি মামলা করি গত ১ লা জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে, যার মামলা নং ৫১৫/২০২৪।
বার বার এভাবে রাতের আঁধারে বাড়ি ভাঙ্গার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে,স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, আব্দুল মান্নান এর পরিবার টি দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি করে এখানে বসবাস করে আসছিল, আব্দুল মান্নান অসুস্থ থাকায় তারা ঢাকায় অবস্থান করছিল।
কিন্তু হঠাৎ করে মোহাম্মদ উল্লাহ নিজেকে জমির মালিক হিসেবে দাবি করে লেবার দিয়ে বাড়ি ভাঙতে শুরু করে, আমরা ভেবেছিলাম বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন আব্দুল মান্নান।
এ বিষয়ে আব্দুল মান্নানের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান যে তারা বাড়ি বিক্রি করেননি।
এলাকাবাসীরা আরো জানান
যদি মোহাম্মদ উল্লাহ প্রকৃত জমির মালিক হয় এবং আদালতের রায় যদি তার পক্ষে থাকে তাহলে দিনের বেলা না ভেঙে রাতের বেলা কেন এভাবে বাড়ি ভাঙ্গার চেষ্টা করা হচ্ছে।নিশ্চয়ই এর মধ্যে কোন রহস্য রয়েছে।প্রকৃত সত্য ঘটনা উদঘাটনে আদালতের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।