নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেটেলমেন্ট অফিসের দালাল ও সন্ত্রাসী মোহাম্মদউল্লাহ'র বিরুদ্ধে এক অসহায় পরিবারের একতলা ভবনসহ বসতভিটা গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সেটলমেন্ট অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, শহরের সন্ত্রাসী ও প্রভাবশালী ভূমি দস্যূদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন দুর্নীতির বিশাল সিন্ডিকেট।
২২ জানুয়ারি সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সন্ত্রাসী মোহাম্মদউল্লাহ্ ও তার সহযোগীরা নড়াইল পৌরসভার ধোপাখোলা গ্রামের নাছিমা বেগমের একতলা ভবনসহ বসতভিটা এক্সেভেটর দিয়ে তান্ডব চালিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। এসময় পঞ্চার্ধ নাছিমা বেগমের আহাজারিতে আকাশ পাতাল ভারী হয়ে উঠে।
নাছিমা বেগম জানান, ২০১০ সালে জমি ক্রয় ও নামজারি করে একতলা ভবন করে বসবাস করে আসছি। হঠাৎ করে সন্ত্রাসী মোহাম্মদউল্লাহ্ এসে দাবি করে এ জমি তার এবং জমি ছাড়তে হবে।আমি উপায়ান্তর না পেয়ে আদালতে মামলা করি। আদালত ১৪৪ ও ১৮৮ ধারা জারি করে। এর মধ্যেই সন্ত্রাসী মোহাম্মদউল্লাহ্ সহযোগীদের নিয়ে এক্সেভেটর (ভেকু) দিয়ে একতলা ভবনসহ বসতভিটা গুড়িয়ে দেয়। আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারনে অসুস্থ। এখন আমি অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে যাব কোথায়?
উল্লেখ্য, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের ১০ হাজার ১৬১ টাকা বেতনের অস্থায়ী পিওন মোহাম্মদউল্লাহ্ (৪০)।
একসময় ছিলেন বাসাবাড়িতে পেটেভাতে কাজ করা কর্মী। এখন তিনি অঢেল সম্পত্তির মালিক। তার বিরুদ্ধে সেটলমেন্ট অফিসের দালালিকে পূঁজি করে আর এস রেকর্ডে জাতীয় মহাসড়ক ও রুপগঞ্জ বাজারের সরকারি খাস খতিয়ানের জমিসহ ব্যক্তি নামীয় জমির মালিক বনে গেছেন তিনি। নড়াইল শহরের ভওয়াখালীতে ১০ শতক জমির ওপর তার তিন তলা আলিশান বাড়ি রয়েছে ।
এ বিষয়ে জানতে মোহাম্মদউল্লাহ'র মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।