মোহাম্মদ মাসুদ
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন চিরুনি অভিযানে
পর্যটকদের ব্ল্যাকমেইল সর্বস্বলুট নানা অসামাজিক কার্যকলাপে কটেজ জোন এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ১১ জন পুরুষ ও সাত জন নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার গভীর রাত তিনটায় কটেজ জোন এলাকায় টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে।অভিযান বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ১১ জন পুরুষ ও সাত জন নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
কক্সবাজারদেশের শীর্ষ পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান। পৃথিবী বিখ্যাত দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার।সৈকতে ভ্রমণ পিপাসুদের আনন্দ বিনোদন উপভোগ ভ্রমণ সবারই পছন্দ। কিন্তু সে আনন্দ হয়ে উঠে বিষাদ তিক্ততায়। কেউ কেউ হয়ে পড়ে সর্বহারা। সৈকতে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ ভ্রমণে আসে। কিন্তু আনন্দের সময় কাটাতে এসে প্রায় সময় পর্যটকের উপর নেমে আসে নানা বিপত্তি। ফলে কেউ কেউ হয়ে পড়ে সর্বহারা।
আর্থিক মানসিক মান সম্মান সর্বদিকে হয় অপরনীয় ক্ষয়ক্ষতির শিকার। সময় কাটাতে এসে প্রায় সময় পর্যটকের উপর নেমে আসে অদ্ভুত পরিনীতি ঘটনাক্রমে বাস্তবতায় নানা বিপত্তি।
ভুক্তভোগী পর্যটকের এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য অনুসন্ধানে নামে কক্সবাজারের টুরিস্ট পুলিশ। যাদের বিরুদ্ধে পর্যটকদের ব্ল্যাকমেইল করে সর্বস্ব লুটে নেয়াসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়া যায়।
টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, দালাল চক্রের ৪০-৫০ জন সদস্য রয়েছে। যেখানে নারী রয়েছে ১২-১৩ জন। মূলত তারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে নারীদের ফুসলিয়ে কক্সবাজারে নিয়ে এসে এমন অসামাজিক কার্যকলাপে বাধ্য করে। তালিকায় রয়েছে রোহিঙ্গারাও। তাদেরও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। আর যেসব কটেজ নাম ঠিকানাবিহীন, রেজিস্ট্রেশন নেই এবং কোনো সাইনবোর্ড নেই সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। মাদক, ছিনতাই, অপরাধের বিরুদ্ধে টুরিস্ট পুলিশ সবসময় শক্ত অবস্থানে থাকবে।
আপেল মাহমুদ অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর্যটক হয়রানির তথ্য অনুসন্ধান করে তারা জানতে পারে দালাল চক্র বিভিন্ন কৌশলে পর্যটকদের কটেজ জোনের রুমে নিয়ে যায়। পরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত নারীদের দিয়ে ভিডিও করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে সর্বস্ব করে ফেলে।
এতে অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় কটেজ জোন। যেখানে মাদকের ছড়াছড়ি হয়েছে বেশ। আটককালে এমন অপরাধের কথা স্বীকার করে অপরাধী চক্রের সদস্যরা। কটেজ জোনের ৬টি হোটেল চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে এসব অপরাধ সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। ইতোমধ্যে চিহ্নিত হোটেলের মালিক এবং ম্যানজারদের বিরুদ্ধে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান।’ এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেছেন,আপেল মাহমুদ অতিরিক্ত ডিআইজি টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন।