মাদারীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও বীর নিবাস ফলক ভাঙ্গার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ২৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শাহীন মাতুব্বর উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শাহীন মাতুব্বর নিজের পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে হামলাকারী সন্ত্রাসীর শাস্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে হয়েছে যে, "গত ১লা নভেম্বর ২০২৩ বুধবার সকাল ১১টায় তোপখানা রোডের সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টস এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে মাদারীপুরে সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপির নাম ব্যবহার করে স্থানীয় সন্ত্রাসী মফেজ কর্তৃক জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মাতুব্বরের বীর নিবাস নির্মাণে বাধা প্রদান, চাঁদা দাবি এবং অস্ত্র দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও হামলাকারী সিরিয়াল কিলার মফেজ এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ভুক্তভোগী আমি মোঃ শাহিন মাতুব্বর একটি সংবাদ সম্মেলন করি। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাসী মফেজ আমার বিরুদ্ধে উক্ত স্থানে ৩রা নভেম্বর ২০২৩ শুক্রবার একটি সংবাদ সম্মেলন করে যার বিষয়বস্তু ছিল-"বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি -এর নামে মিথ্যা বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বিভ্রান্ত মূলক সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।" সন্ত্রাসী মফেজ শাজাহান খান এমপির বাসায় থাকে এবং তার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে। সন্ত্রাসী মফেজ একজন সিরিয়াল কিলার দাগী আসামী। এখানে কোন ভাবেই আমি -"বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপির নামে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তমূলক কোন কথা বলিনি। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আমি হুবহু সন্ত্রাসীদের মুখের কথাগুলো তুলে ধরেছি। আমি সম্পূর্ণ সত্য বিষয় তুলে ধরেছি। সন্ত্রাসী মফেজ শাজাহান খান এমপির বাসায় থাকে এটা সন্ত্রাসী মফেজ তার সংবাদ সম্মেলনে নিজে স্বীকার করেছে। তার মানে আমার কথাগুলো সত্য বলে প্রমাণিত হলো। শাজাহান খান এমপি তাকে বাসায় রেখেছে মানুষ খুন আর চাঁদাবাজি করার জন্য এটা সন্ত্রাসী মফেজের নিজের মুখের স্বীকাকৃত কথা। আমি নিজ থেকে এবিষয়ে কিছু বলি নাই। সন্ত্রাসী মফেজ বলেছে বাংলাদেশের কোন থানায় তার নামে কোন মামলা নাই। এবিষয়টা মিথ্যা প্রমাণের আগে আর কিছু বিষয় দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে চাচ্ছি। তারপর মামলার বিষয়টা প্রমাণসহ তুলে ধরছি। সন্ত্রাসী মফেজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছে বীর নিবাস নির্মাণের বিষয়টা পারিবারিক সমস্যা। প্রথমত মফেজ আমার আপন চাচা না। তার মানে এই বিষয়টা কোনভাবেই পারিবারিক বিষয় না। এমনকি বংশগতও না। যদি বংশগত হত তাহলে সে পারিবারিক সমস্যা বলতো না। পুরো বিষয়টা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য সে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। সন্ত্রাসী মফেজ প্রকাশ্য স্বীকার করেছে যে, সে শাজাহান খান এমপির বাসায় থাকে। যে কথাটা আমিও সেদিন জোর গলায় বলেছি। বাসায় থাকে বলেই শাজাহান খান এমপির নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী মফেজ যা ইচ্ছে তাই করে। যেকোন ধরনের অপরাধ করতে সাহস পায় এবং দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন অপরাধ নির্দ্বিধায় করে যাচ্ছে। যার কিছুই হয়তো শাজাহান খান এমপি জানেন না। তাই তিনি হয়তো বিশ্বাস করতে পারছেন না। তার নামে সন্ত্রাসী মফেজ চাঁদা দাবি করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন যাবত। সন্ত্রাসী মফেজ বলেছে-আমি শাহিন মাতুব্বর দুষ্ট চরিত্রের অধিকারী হওয়ায় আমার বসতবাড়ি খাস দেখিয়ে ডিসি বরাবর আবেদন করিয়া বন্দোবস্ত নেই। তার মানে সে বুঝাতে চেয়েছে বীর নিবাস নির্মাণ কৃত জায়গা খাস নয়। ইহা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। শুধু আমাদের বাড়ি না সন্ত্রাসী মফেজ ও দাদনের বাড়িও খাস জমিতে। মোট কথা ২নং বড় গোসাইদিয়া মৌজা, দেয়ারা-১ এর সমস্ত জমি খাস। যেহেতু খাস জমিতে কোন ব্যক্তিগত স্থাপনা করা যায় না, তাই বীর নিবাস নির্মাণের জন্য আমার পিতার পৈতৃক বাড়ি আমার মায়ের নামে ডিসি পুনরায় বন্দোবস্ত দেয় এবং এই বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য শাজাহান খান এমপি ডিসিকে লিখিত ভাবে জোর সুপারিশ করেন। এথেকে প্রমাণিত হয় সন্ত্রাসী মফেজ যা বলেছে তা শতভাগ মিথ্যা বলেছে। সিরিয়াল কিলার মফেজের হাতে যারা খুন হয়েছে তাদের মামলার নথি- অপরাধ ১। হিরু শেখ হত্যা- ১নং আসামী ছালাম হাওলাদার। ২নং আসামী মফেল মাতুব্বর। ৩নং আসামী দাদান মাতুব্বর, ৪নং আসামী ছরোয়ার মাতুব্বর। তারিখ - ০৯/০৩/২০১৫ইং ধারা ৩০২/৩৪ জিআর ১৪৩/১৫m। অপরাধ ২।সুন্দর/ বাচ্চু হত্যার হত্যার ৫নং আসামী মফেজ মাতুব্বর তারিখ ১৮/০৯/২০০২ইং, ধারা-১৪৮/১৪৯/৪৪৮/৩২৬/৩০৫/৩০৭/৩০২/১১৪ জিআর ২৬৩/০২m। অপরাধ ৩।মজিবর মাতুব্বর(মাস্টার) হত্যা মামলার ১নং আসামী মফেজ মাতুব্বর তারিখ- ২০/০৮/১৯৯৭ইং ধারা- ১৪৮/৩০২/১০২/১০৯/১১৪/৩৪ জিআর ৫১২/৯৭m। অপরাধ ৪। অস্ত্র মামলার (চলমান) ১নং আসামী মফেজ মাতুব্বর। অপরাধ ৫। এছাড়াও অন্য হত্যা মামলার ২নং আসামী দাদন মাতুব্বর এবং ৯নং আসামী ছরো মাতুব্বর। জিআর নং ২১৬/১০ ধারা ৩০২/৩৪ গুলি করে হত্যা। এসব হত্যাকান্ডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য লোমহর্ষক হত্যা হচ্ছে- দুই জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন। এই দুই পুলিশ কে ৭০/৮০ টুকরো করে কুমার নদীতে দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছিটিয়ে ফেলে দেয় এবং দত্তপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি লুট করে অস্ত্র নিয়ে আসে সেই অস্ত্র দিয়েই সশস্ত্র সন্ত্রাসী মফেজ ও দাদন বাহিনী আজও মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এরা এতোটাই বর্বর যে এদের হাত থেকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার বীর নিবাসের ভিত্তিপ্রস্তরও রক্ষা পায় না। চাঁদা না দেয়ায় এরা বীর নিবাসের ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙ্গে নিয়ে যায়। অথচ এই ভিত্তিপ্রস্তর শাজাহ