সিদ্দিকুর রহমান বেরোবি প্রতিনিধি:
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) দিনব্যাপী শীত উৎসবে হরেক রকমের পিঠার স্বাদ নিতে নারী, পুরুষ ও শিশুদের ভিড় ছিল প্রতিটি স্টলে।যেখানে ছিল পালকি, ঢেকি, চালনাসহ হরেক রকম আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো। নিমকি, ঝুরা সেমাই, ত্রিভুজ, মরিচ, নারকেল, হালুয়া, চটা, মেরা, কামরাঙা, ডিমসুন্দরী, হৃদয়হরণ, খরগোশ, জামাই, বউ, পাখি, কবুতরসহ আরো কত নাম
প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখা যায়, দুধ পিঠা, চিতই পিঠা, তেল পিঠা, নোনাস পিঠা, সুজি পিঠা, গোলাপ পিঠা, পুলি পিঠা, পুডিং পিঠা, পাটিসাপটা, সুজি পিঠা, কুমড়া পটাস, গোলাপ রসপুরি, নুনিয়া পিঠাসহ শতাধিক পিঠার আইটেম শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তৈরি করে উৎসবে যোগ দেয়।
সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকের সামনেই জমে উঠেছে পিঠা উৎসব। উৎসবে বিভিন্ন রকম পিঠার সমাহার নিয়ে বসেছে ৯টি স্টল। বাহারি নামের পিঠাগুলো খেতে শিক্ষার্থীরা দল বেধে আসছে।
দেখা যায়, কেউ পিঠা স্টলে নিজের পছন্দসই পিঠা খুঁজে ফিরছে। আবার কেউবা পরিবারসহ নিজেদের পছন্দের পিঠা খাচ্ছেন। আবার কেউবা সেলফি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
উৎসবে হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে হাজির হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দিনব্যাপী উৎসবে ভিন্নধর্মী ও বাহারি পিঠাপুলি ও মুখরোচক খাবারের সমাহার নিয়ে হাজির হওয়া স্টলগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
আয়োজক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পিঠা বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্বাদু ও মুখরোচক পিঠা মানেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শীত এলেই ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা উৎসব। আধুনিক নগর সংস্কৃতির প্রভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী রকমারি পিঠা। তাই বাঙালির ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ পিঠা উৎসব।
কথা হয় পরিবারসহ পিঠা খেতে আসা মনসুর আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, অনেক প্রকার পিঠা নিজে খেলাম। আমার ছেলে-মেয়েরাও খেয়েছে। আর কিছু পিঠা সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি পিঠার স্বাদই চমৎকার ছিল।
পিঠা খেতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল রাফা বলেন, এই শীতে বাড়িতে যাওয়া হয়নি। তাই পিঠা উৎসবের কথা শুনে রুমে থাকতে পারিনি। আমি এখনো পিঠা খাইনি। পছন্দের পিঠা খুঁজে পেলে খাব। বড় আপুরা এতো সুন্দর সুন্দর পিঠা বানিয়েছেন, দেখলেই কেউ চোখ সরাতে পারবে না।
মো সিদ্দিকুর রহমান
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর