মোহাম্মদ মাসুদ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার ককটেল বিস্ফোরণ এবং নাশকতা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক,আবু মুছা (মুছা মেম্বার)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
২৮ জানুয়ারি,রাত ৯টায় বাঁশখালী থানাধীন পুকুরিয়া চৌমুহনী বাজার এলাকা হতে আসামি মুছা মেম্বার (৪৫),কে আটক করে। আটককৃতর পরিচয় চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার পুকুরিয়া গ্রামের পিতা- মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব সূত্রে জানা যায় গত ২,নভেম্বর-২৩ইং বিএনপি ও জামায়াতের অবরোধ সোনারটিলা এলাকায় রাস্তার উপর কতিপয় দুস্কৃতিকারীরা সরকার বিরোধী বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিয়ে লাঠি-সোঠা,লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি,সাধারণ জনগণের মাঝে ভয়-ভীতির উদ্দেশ্যে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতামূলক কর্মকান্ড সৃষ্টি করে।
এসময় ভিকটিম মোঃ করিম(২৬)সহ ৭/৮ জন নেতাকর্মীদের ইট পাটকেল নিক্ষেপে গুরুতর জখম,হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। খবরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে নাশকতাকারীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে।
ঘটনায় ভিকটিম মোঃ করিম বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় ৩২ জন এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১৫৫/২১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। (মামলা নং-০২/০৩ নভেম্বর ২০২৩ ইং)The Explosive Substances Act-৩/৪/৬।
র্যাব-৭,মামলার পলাতক আসামিদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্তের এক পর্যায়ে গোপন সূত্রে বাঁশখালী থানাধীন পুকুরিয়া চৌমুহনী বাজার এলাকায় অবস্থানকালে আসামিকে ধরতে সক্ষম হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, অবরোধ কর্মসূচী বাস্তবায়নে সড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি, ভাংচুর, ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা সৃষ্টি এবং বাদী ভিকটিমকে মারধর করে।
উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনায় মুছা মেম্বার এর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় সরকারী সম্পত্তির ক্ষতিসাধন, বেআইনি সমাবেশ, নাশকতা, হত্যাচেষ্টা আইনে ০১টি মামলা রয়েছে। আসামি সংক্রান্তে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭,এর সিনিয়র সহকারী
পরিচালক মিডিয়া অফিসার নুরুল আফছার।