খোরশেদ আলম রনি লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর মহাশ্মশানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরের আগে যেকোন সময় ঘটনাটি ঘটে। শ্মশান কমিটির লোকজন বিষয়টি জানলেও দিনভর তারা এ নিয়ে গোপনীয়তা অবলম্বন করেন। তারা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন। পরে সন্ধ্যার দিকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি ফাঁস হয়।
রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন রায়পুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সামছুল আরেফিন। তবে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন শ্মশান কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার সাহা।
এর আগে খবর পেয়ে রাত ৮টার সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রিয়াংকা দত্ত, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ পিপিএম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন ফারুক মজুমদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জামশেদ কবির বাক্কি বিল্লাহ প্রমুখ।
শ্মশানের তত্ত্বাবধায়ক হরেন্দ্র চন্দ্র কুরী বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো গতকাল সোমবার রাত ৮টার সময় শ্মশানের ফটক বন্ধ করে আমি চলে যাই। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এসে পুড়ে যাওয়া অফিস ও কালি প্রতিমা দেখতে পাই। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ফার্নিসার ভাঙচুর ও গাছপালাও কেটে ফেলে। পরে বিষয়টি আমি কমিটির লোকজনকে জানাই।’
শ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘দুপুরে খবর পেয়ে আমরা এসে বিস্তারিত দেখতে পাই। এ বিষয়ে কমিটির সবাইকে নিয়ে বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় ঘটনার খবর প্রশাসনকে জানাতে সন্ধ্যার পর হয়ে যায়।’
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ পিপিএম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আশা করি দ্রুত প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, ‘পুরো বিষয়টি আমার তদন্ত করে দেখছি। এটি সাম্প্রদায়িক কোনো বিষয় নয়। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রয়েছে। এটি বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা। তথ্য গোপন থাকার কোনো সুযোগ নেই। এটা বের হয়ে আসবেই।’
Leave a Reply