মো: জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বৈমাত্রেয় ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও মেয়েকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে বড় ভাই আকবর আলী।
গত মঙ্গলবার উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের দক্ষিন সন্ন্যাসীভিটা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, সন্ন্যাসীভিটা গ্রামের মৃত আমজাদ আলী তার দুই স্ত্রীর গর্ভের দুই সন্তান আকবর ও মুন্নাফ এর নামে মোট ৫ একর জমি লিখে দেন। আমজাদ আলী জীবিত থাকাবস্থায় মুন্নাফ মারা গেলে তার নামে লিখে দেওয়া আড়াই একর জমির মধ্য দেড় একর অন্যত্র বিক্রি করে বাকী ১ একর অন্য স্ত্রীর গর্ভের সন্তান আঃ কাইউমের নামে লিখে দেন তার বাবা আমজাদ। ফলে জীবিত ২ ভাইয়ের মধ্যে আকবরের তুলনায় কাইউম দেড় একর জমি কম পান। সম্পদ লোভী বড় ভাই আকবর আলী ছোট ভাই কাইউম ওই জমির দিকে নজর দেন। তিনি ওই জমিতে নিজের ভাগ আছে বলে দাবি করেন।
একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার ছোট ভাই বাড়িতে না থাকায় তার জমিতে হালচাষ শুরু করেন বড় ভাই। প্রতিবেশীর কাছে খবর শুনে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রুপালী খাতুন জমিতে গিয়ে হালচাষে বাঁধা দিলে রুপালীকে মারধর করে তার ভাশুর আকবর। রুপালীর চিৎকার শুনে মা'কে বাঁচাতে আসে কলেজ পড়ুয়া মেয়ে কুলসুম আক্তার কনিকা। এসময় মা-মেয়েকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আকবর আলী, তার ছেলে মনোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনার পরদিন আঃ কাইউম বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার দিন রাতেই পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। পরে আসামিরা জামিনে বেরিয়ে এসে কাইউম পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
এলাকাবাসী ও কাইউমের স্বজনেরা বলেন, আকবর আলী কাইউমের তুলনায় জমি বেশি পেয়েও কাইউমের জমিতে ভাগ বসাতে চায়। এনিয়ে দফায়-দফায় শালিশ বৈঠক হলেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। আইনী ভাবে আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।