নিউজ ডেস্ক :
অসময়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে মামলার বিড়ম্বনায় পড়া ৩৬টি মামলার শুনানি হয়েছে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ ও নওগাঁ শিশু আদালত-২–এ। আজ বুধবার জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদারের উদ্যোগে এ সব মামলার শুনানি হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বর্তমানে সারা বিশ্বে এই দিনটিকে খুব ঘটা করে উৎসবের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। এই দিনে পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় ভালোবাসার মানুষে পরিপূর্ণ থাকে। প্রিয়জনকে ভালোবেসে প্রায় সবাই ফুল ও বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দিয়ে থাকেন। তবে আজকের এ ভালোবাসা শুধুই প্রেমিক আর প্রেমিকার জন্য নয়। মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাইবোন, প্রিয় সন্তান এমনকি বন্ধুর জন্যও ভালোবাসার জয়গানে আপ্লুত হতে পারে সবাই।
ভালোবাসার সেই পবিত্রতা বোঝাতেই এদিন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ ও শিশু আদালত-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার। এদিন এই আদালতে ৩৬টি মামলার শুনানির জন্য পূর্ব থেকেই ধার্য রাখা হয়। এসব মামলার প্রত্যেকটিতেই রয়েছে অসময়ের প্রেমে জড়ানো যুগলদের গল্প।
আদালতে আসা যুগলের লাভ ক্যান্ডি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (পিপি) মকবুল হোসেন। বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার ওইদিন বেলা ১১টায় এজলাসে বসে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। সেখানে উপস্থিত উপস্থিত হওয়া যুগলদের অসময়ে প্রেমে না জড়িয়ে নিজেদের ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, পিতামাতার আদেশ মেনে চলা, পড়াশোনা অব্যাহত রাখা, আত্মনির্ভরশীল হওয়া এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিয়োজিত থাকতে উদ্বুদ্ধ করেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মকবুল হোসেন বলেন, ‘আজ ভিন্নমাত্রায় আদালত বসেছে। ট্রাইব্যুনালের অসম প্রেমে জড়ানো ও তা থেকে অভিভাবকদের অপহরণ এবং বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলাগুলো আজ শুনানির জন্য রাখা হয়। বিচারক সংশ্লিষ্টদেরকে পড়াশুনার পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধে ও গুরুজনদের আদেশ-নিষেধ মেনে চলার উপদেশ দেন।’
নওগাঁ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘মামলাগুলো ভিন্ন ভিন্ন দিনে শুনানি করলে বিচারক সবাইকে একই উপদেশ দিতে পারতেন না। মামলাগুলো একইদিনে শুনানির উদ্যোগ নিয়ে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’