পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর-পাড়েরহাট সড়কের ঝাউতলা নামক স্থানে বাস, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৭ জনের মরোদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে পিরোজপুর থেকে পাড়েরহাট যাবার পথে ঝাউতলা নামক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতদের মরোদেহ সন্ধ্যা ৬টায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহত ইজিবাইক চালক নাইম হোসেন (২২) শংঙ্করপাশা এলাকার জাকির হোসেন এর পুত্র, নিহত যাত্রী হেমায়েত হাওলাদার (৫০) পাড়েরহাট এলাকার আক্কেল হাওলাদারের পুত্র। এছাড়াও অটোতে থাকা নিহত খাইরুল (২০) শংঙ্করপাশা এলাকার ইদ্দ্রিস সেখ এর পুত্র, মানসুরা বেগম (৪৮) শংঙ্করপাশা এলাকর জাহাঙ্গীর মুন্সির স্ত্রী, জেসমিন আক্তর (৩০) পাড়েরহাট এলাকার আমিনুল গাজির স্ত্রী, আলমগীর(২৩) একই এলাকার সুলতান মীর এর পুত্র। এছড়াও মোটরসাইকের আরোহী স্বপন ভান্ডারিয়ার ইকরি এলাকার বাসিন্দা।
জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সহাসতায় নিহত ৭ জনের মরোদেহ কার্যক্রম শেষ করে নিহতদের পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাধুবী রায়।
নিহত পরিবারের স্বজন রাজু সেখ জানান, অটোতে করে আমার চাচাতো ভাই বাজার থেকে ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হলে আমরা কোন ঝামেলা ছাড়াই লাশ ফিরে পেয়েছি। রাতেই জানাজা শেষে দাফন করা হবে। তবে লোকাল বাসটির ঘাতক চালকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
নিহতের স্বজন জিয়াউল আহসান গাজী জানান, সড়ক দূর্ঘটনায় ৭টি প্রাণ অকালে ঝড়ে গেছে। এ ঘটনায় গভীর সমবেদনা জানাই। আমরা ফিটনেস বিহীন গাড়ি বন্ধের দাবী জানাই এবং লোকাল বাসের চালকদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি প্রশাসনকে দেখার জন্য দাবী জানাই। অবিলম্বে দোষীকে আইনের আওতায় আনা হোক।
নিহতের স্বজন ফরিদ হোসেন জানান, অকারনে পিছন থেকে অটোরিক্সাটিকে বাস এসে ধাক্কা দেয় ফলে এ দূর্ঘটনা ঘটে। আমরা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানাই।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাধুবী রায় বলেন আমরা নিহতদের পরিবারের কাছে অল্প সময়ের মধ্যে মরোদেহ হস্তান্ত করেছি।
উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে পিরোজপুর থেকে পাড়েরহাট যাবার পথে ঝাউতলা নামক স্থানে যাত্রী নামাচ্ছিল। এ সময় পিরোজপুর থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ইন্দুরকানী যাবার পথে ওই ইজিবাইক ক্রস করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটর সাইকেলকে সাইড দিতে গেলে ইজিবাইক, মোটর সাইকেল ও বাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন ও পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নেবার পথে আরোও ২ জন নিহত হয়। পরে পিরোজপুর থেকে খুলনা নেয়ার পথে আরো ১ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরোও ১০ জন আহত হয়েছে বলে পিরোজপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। গুরুতর আহতদের খুলনা ও বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পিরোজপুর প্রতিনিধি।
Leave a Reply