আব্দুল মজিদ মল্লিক,
জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ:
ভারত মহাসাগড়ে জলদস্যুদের কবলে নওগাঁ সদর উপজেলার শাহী মসজিদ মহল্লার সাহিদুজ্জামানের বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি। ছেলের জিম্মির খবর পেয়ে স্বজনরা বুক চাপড়িয়ে কাদঁছেন আর বিলাপ করছেন।তার স্ত্রী মান্না তাহরিন শতধা আক্তার স্বামী ও জাহাজে জলদস্যুদের কবলে পড়া সবার জন্য দোয়া প্রার্থনা করছেন। স্বামী এবং সকল নাবিক যেন জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হয়ে স্বজনদের কাছে আবার ফিরে আসতে পারে।
ভারত মহাসাগড়ে জলদস্যুদের কবলে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পন্য বহনকারী জাহাজের ২৩ জন নাবিকের মধ্যে রয়েছেন নওগাঁর সাহিদুজ্জামান। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার শাহী মসজিদ মহল্লার কাইয়ুম প্রফেসরের দ্বিতীয় পুত্র সন্তান। তিনি নওগাঁ কেডি উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৪ সালে এস এস সি পাস করেন। নওগাঁ সরকারি কলেজ থেকে ১৯৯৬ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ভর্তি হন চট্রগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পাস করে ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি জাহাজে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকুরী নেন।সাহিদুজ্জামানের আরও একটি বড়ো ভাই জাহাজের মেরিনার হিসেবে দীর্ঘদিন চাকরি করেছে। তার একটি ফুটফুটে ছয় মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে যার নাম বাবার সাথে মিল রেখে মেহেরীমা সাফরীন জামান রেখেছেন।
সাহিদুজ্জামানের স্ত্রী মান্না তাহরিন শতধা আক্তার বলেন,আমার স্বামী গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আমাদেরকে মুঠোফোনের মাধ্যমে জলদস্যুদের কবলে পড়ার ঘটনা জানান। সর্বশেষ বুধবার বিকেল ৪টায় আবারও কথা হয়েছে এখনও জলদস্যুরা তাদেরকে ফিজিক্যাল টর্চার করেনি,তাদেরকে জাহাজের একটি ঘরে আটকে রেখে রমজান মাস হওয়ায় সেহরি ও ইফতারের ব্যবস্তা করে দিচ্ছে,তিনি আরও জানান মুক্তিপণের ৫০ লাখ ডলার না দিলে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবেনা, তারা এখন সোমালিয়ার দিকে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর পেয়ে সবাই আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।
আব্দুল মজিদ মল্লিক
নওগাঁ।