মো: জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি।
ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ না নিয়েও সার্টিফিকেট মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মরমেছ আলীসহ আরো কয়েকজন কৃষক। মরমেছ আলী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গান্দিগাঁও গ্রামের মৃত অমেজ উদ্দিনের ছেলে। মরমেছ আলী জানান, তিনিসহ আরো কয়েকজন কৃষক ২০০০ সালে বোরো মৌসুমে কৃষি ঋণ পেতে স্থানীয় জনতা ব্যাংককের মাঠ পরিদর্শকের কাছে জমিনের দলিল পত্রাদি জমা দেন।
কিন্তু তাদেরকে কোন ঋণ দেয়া হয়নি। পরবর্তীতে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয় । কিন্তু ২০০১ সালে ব্যাংক থেকে তাদের নামে ঋণ পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। জানা গেছে, প্রতিজন কৃষকের নামে ১০/১৫ হাজার করে টাকা বরাদ্দ দেখিয়ে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ সময় কৃষকরা ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তে ঘটনার সত্যতা ও প্রমাণিত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার আব্দুল সালাম, মাঠ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ৩ কর্মকর্তাকে চাকুরী থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
কিন্তু কৃষক মরমেছ আলীসহ এলাকার ওইসব কৃষকদের নামে বরাদ্দকৃত ভুয়া ঋণের বিষয়টি কোন সুরাহা হয়নি। বর্তমানে লাভে আসলে ওইসব কৃষকদের নামে ঋণের পরিমান দ্বাড়িয়েছে দ্বিগুণ। এসব টাকা আদায় করার উদ্দেশ্যে জনতা ব্যাংক তাদের
নামে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় কৃষক মরমেছ আলীসহ আরো কয়েক জনের নামে। উক্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে মরমেছ আলীসহ অন্য অন্যান্য কৃষকদের নামে নোটিশ প্রদান করা হয়। এ নোটিশ প্রদানের পর থেকে পরোয়ানাভূক্ত কৃষকরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন । ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন বলেন এ বিষয়ে কোন কৃষককে হয়রানি করা হলে তিনি জনগনকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে মাঠে নামবেন। ব্যাংক ম্যানেজার হিমাদ্রি দত্ত বলেন এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। তবে সুদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন,মামলা করেছেন ব্যাংক। ব্যাংক কতৃপক্ষ ছাড়া আমার কিছুই করার নেই।