নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাগমারা উপজেলায় মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ কে বৃদ্ধ আঙ্গুল দেখিয়ে বাগমারা উপজেলাধীন বাসু পাড়া ইউনিয়নের বাসু পাড়া গ্রামের দহের ঘাট সংলগ্ন, গনিপুর ইউনিয়নের দুবিলা, কোলা গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের গোয়ালকান্দি বাজার সংলগ্ন, ঝিকরা ইউনিয়নের ঝিকরা ও হামিরকুৎসা ইউনিয়নের কালোপাড়া মৌজায় মহামান্য হাইকোর্টের বিভাগের আদেশ অমান্য করে আবাদি কৃষি জমিতে অবাধে পুকুর খনন অব্যাহত থাকলেও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে নিষ্ক্রিয়তা ভূমিকা পালন করছে। বাগমারা উপজেলায় আবাদি কৃষি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং ৪৩ ৫৩ /২০১৭ এর আদেশ বলবৎ ও কার্যকর থাকা সত্ত্বেও বর্তমান উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডোগায় নির্বিঘ্নে শতশত বিঘা আবাদি কৃষি জমি ধ্বংসের মহাযজ্ঞ চলছে। বিভিন্নভাবে অভিযোগ দিয়েও প্রশাসন কোনরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি কৃষকরা। প্রশাসনের চোখের সামনে প্রধান রাস্তার পাশে বাগমারার বিভিন্ন ইউনিয়নে দিন রাত্রিতে ধ্বংস করছে খননকারীরা শত শত বিঘা জমি এবং উক্ত খননের মাটি সরকারি রাস্তা ব্যবহার করে বিভিন্ন ইট ভাটায় চড়া দাম বিক্রি করছে খলনকারীরা। সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তারাস্তা গুলো নিমেষে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তাতেও প্রশাসনের কোনরূপ টনক নড়ছে না।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উপজেলার সকল প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই নির্বিঘ্নে দিন রাত্রিতে কৃষিজমি ধ্বংস করে পুকুর খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে খননকারী চক্র। পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে সরকারী বিভিন্ন রাস্তাঘাট। ফলে পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।এছাড়াও খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তার হুমকির মুখে পড়ছে । পুকুর খনন বন্ধে আদালতের আদেশ মোতাবেক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বাগমারা উপজেলায় আবাদি কৃষি জমির চরম সংকট আকার ধারণ করবে বলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা করছে।