রায়পুর(লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধি ঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জোর পূর্বক পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার উওর কেরোয়া গ্রামের আমিন উল্যা ওরপে কালু মাঝির ছেলে হুমায়ুন কবির সেন্টু,ও মাইনউদ্দীন রিপন, মো: রিফাত,শরিফ, জুয়েল এর বিরুদ্ধে।
এতে উভয় পক্ষের মধ্যে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী। এদিকে ভুক্তভোগী বাদী সেলিম স্হানী মান্যগণ্য ব্যক্তির দারস্থ্য হয়েও পাচ্ছেন না কোন প্রতিকার। এবিষয়ে প্রশাসন ও আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন অসহায় সেলিম এর পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামের চৌকিদার বাড়ির সেলিম এর দখল কৃত জমি আর.এস জে এল নং ২৭ আর এস খতিয়ান ১৮৩০ আর এস দাগ নং ৯৫৪৩/৯৫৪৪ এর ১০ শতাংশ জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন,আমিন উল্যা ওরপে কালু মাঝির ছেলে হুমায়ুন কবির সেন্টু। যার প্রেক্ষিতে গত ২৮/০৩/২০২৪ তারিখে মো: সেলিম বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাজ বন্ধের নিষেধাজ্ঞা জারি করে ১৪৪ ধারার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।
বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে কোট পিঃ ১৮৫/২০২৪ এবং ৪৪৭ নং স্মারকে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারা কার্যকর করতে তফসিলভুক্ত সম্পত্তিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন। থানার এ.এস.আই রবিউল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই সম্পত্তিতে ১৪৪ ধারা জারি রেখে কোন প্রকার কাজ না করার নির্দেশ প্রদান করেন।
কিন্তু বিবাদী আমিন উল্যা ও তার ছেলেরা ভোগদখলকৃত অংশে আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জোরপূর্বক রাজনৈতিক প্রভাব ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্থানীয় কতিপয় অসাধু লোকের সহায়তায় সংবদ্ধ হয়ে ইট, বালু, রড ও সিমেন্ট নিয়ে নালিশি জমিতে প্রবেশ করে ত্রাস সৃষ্টি করে আদালতের নোটিশ পাওয়ার পর জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ করে আসছে। পরবতীতে বাদী পক্ষ ৯৯৯ কল দিয়ে অবহিত করলে নির্মান কাজ বন্ধ হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবিরের ভাই জুয়েল জানান, আমাদের জমিতে ঘর নির্মাণ করছি। এটা আমাদের ক্রয় কৃত জমি আমরা দীর্ঘ দিন থেকে দখলে আছি। আমাদের বাড়ির জমিতে যদি কোন সমস্যা থাকে বসে সমাধান করা হবে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সেলিম বলেন এই জমি নিয়ে বিগত সাত বছর যাবৎ স্হানী ভাবে বসা হয়েছে, কিন্তুু কোন সমাধান হয়েনি। তাদেরকে কাগজ দেখাতে বললে তারা দেখাতে পারেনা। জোরপূর্বক ক্ষমতার দাপটে এই সব করে।এখন আদালতের ১৪৪ ধারা থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষ পাকা ঘর নির্মাণ করছে। আমরা এর বিচার চাই।
এবিষয়ে রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিন ফারুক মজুমদার জানান, আদালতের আদেশ ক্রমে ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। যদি কেহ এই আদেশ অমান্য করে তাহলে, আদালতের আদেশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply